মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে সংকট তীব্র হচ্ছে। চরম দূর্দশাগ্রস্ত এই উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের জরুরিভিত্তিতে সহায়তা দরকার। বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন এসব কথা বলেন।
শনিবার ব্যাংকটির ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়। এতে বলা হয়, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠক উপলক্ষে অ্যানেট ডিক্সন পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা আসেন। বিডিএফ বৈঠকে অংশ নেয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যান। শনিবার ছিল তার সফরের শেষ দিন।
ডিক্সন বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা এসেছে। যতদূর চোখ যায় লাইনের পর লাইন শুধু রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র দেখা যাচ্ছে; যা অবকাঠামো ও পরিবেশের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। বর্ষাকাল শুরু হলে এসব এলাকায় রোগবালাই ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাড়বে।
তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্থান দেওয়া ও সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনসাধারণের প্রশংসা করে বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
অ্যানেট ডিক্সন কক্সবাজারে নিবন্ধিত ও অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশন করেন। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। একইসঙ্গে নিবন্ধন কেন্দ্র, স্বাস্থ্য সেবা ও খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, শিশু কেন্দ্র ও মহিলাদের জন্য তৈরি বিশেষ সুবিধার কেন্দ্রও পরির্দশন করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ রোহিঙ্গাদের টিকে থাকতে সাহায্য করছে। কিন্তু তাদের আরও সাহায্য দরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সরবরাহকারি সংস্থা এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় কাজ করছে এমন এনজিওর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডিক্সন।
অ্যানেট ডিক্সন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। পাঁচ দিনের সফরের শেষে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের অনুপ্রেরণা। তবে এখনও অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি