প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমরা খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করেছি। শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রেও এ ব্যতিক্রম হয়নি। তাছাড়া দেশবাসীও এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যার কারণে আমাদের এগিয়ে যাওয়া আরও সহজ হয়েছে। শেয়ারবাজার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংবাদিক ফোরাম। আর এ কাজের পরিবেশ তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন সব রকমের সহায়তা দেবে সরকার বলে মন্তব্য করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
আজ বুধবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন(বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ)এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শেয়ারবাজার সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ শেয়ারবাজারের অবস্থা “জল পড়ে পাতা নড়ে” এ মতো। একটু বাতাসেই শেয়ারবাজারের অনেক আপ-ডাউন হয়। তাই সাংবাদিকদের লেখনীটা অনেক জরুরী। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের লেখনীতে যেন শেয়ারবাজার আরো সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। সকল বাধা বিপত্তি দূর করে কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়েই কাজ করছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আইনের মাধ্যমে নানা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যদি আরও প্রয়োজন হয়, সরকার তৈরি আছে বিএসইসিকে ক্ষমতা দেয়ার জন্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে সেটি ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা করি।
বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, বিএমবিএর নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এএফসি ক্যাপিটালের নির্বাহী প্রধান মাহাবুব এইচ মজুমদার, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টসের সিওও হাসান জাবেদ চৌধুরী এবং গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহসহ আরও অনেকে।