শেয়ারবাজারে প্রক্রিয়ায় রয়েছে নতুন নতুন আরো আইপিও : অর্থমন্ত্রী

muhitস্টকমার্কেট ডেস্ক :

আমাদের শেয়ারবাজার এখন ভালো, স্থিতিশীল। বিদেশি বিনিয়োগ আসছে, নতুন নতুন আইপিও আসছে। আরও আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অনলাইন প্রত্রিকা বিডিনিউজ২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের এখানে শিল্প মালিকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্প গড়ে তুলতে চায়। এটা ঠিক নয়। শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। এখন একটা অবস্থায় গিয়েছে। অনেকেই শেয়ারবাজার থেকে অর্থ নিয়ে শিল্প গড়ে তুলছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও বাজার স্বাভাবিক করতে অনেক কাজ করেছে। সব মিলিয়ে আগামীতে শেয়ারবাজার আরও ভালো হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, আমাদের সরকারি ব্যাংকগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা আছে। আমরা সে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছি। অভিজ্ঞদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে তাদের বন্ড দেওয়া হবে। তবে কী পরিমাণ দেওয়া হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

এসময় ২০১৬ সালে অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলে, সামষ্টিক অর্থনীতিতে কতগুলো ইনডিকেটর (সূচক) আছে। এদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এই মূল্যস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষমতায় যখন এসেছিলাম তখন এর হার ডাবল ডিজিট ছিল। এখন সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে, ৫ দশমিক ৬।

অ্যানাদার ইম্পর্টেন্ট ইন্ডিকেটর ইজ ইনভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ)। ইনভেস্টমেন্ট আমরা অনেক বাড়িয়েছি। সরকারি ইনভেস্টমেন্ট বেড়েছে। এটা বাড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল মোর প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট। উদাহরণস্বরূপ এই যে আমাদের গ্রোথ বেড়ে গেছে। এর মূল কারণ পাওয়ার প্রোডাকশন বাড়ানো। প্রথম তিন বছরেই আমরা এটা করেছি।

থার্ড ইন্ডিকেটর হল এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান)। এমপ্লয়মেন্টে আমাদের প্রবলেম আছে এখনও। স্ট্যাটিসটিকস অনুযায়ী আনএমপ্লয়মেন্ট পপুলেশন এখন ফোর পারসেন্ট। এটা আরও কিছু দিন থাকবে…।

একটা অ্যাডভান্টেজ আমাদের আছে। আমরা প্রতিবছর বাইরে প্রায় ৫ লাখ লোক পাঠাচ্ছি, প্রতিনিয়ত দেশের বাইরে মার্কেট খোঁজার চেষ্টা করছি। ১৬০টি দেশে বর্তমানে আমাদের লোকজন যায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *