শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির উদ্যোগ

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নির্বাচনের বছরে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে নির্ধারিত বিনিয়োগসীমার মধ্যে থেকেই শেয়ারবাজারে বাড়তি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে, সে জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে দুটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর একটি হলো, অমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসীমা গণনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া। অনুমোদন মিললে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমানে ১৪টি অমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা এক হাজার ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগসীমার বাইরে চলে যাবে। তখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে এই পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।

বিএসইসির দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো, অ-রূপান্তরযোগ্য অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার (নন-কনভার্টেবল প্রেফারেন্স শেয়ার), অ-রূপান্তরযোগ্য ডিবেঞ্চার ও অ-রূপান্তরযোগ্য বন্ড (নন-কনভার্টেবল বন্ড ও ডিবেঞ্চার) এবং শুধু ডেব্ট ইনস্ট্রুমেন্টে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিনিয়োগ করে তাকেও বিনিয়োগসীমার বাইরে হিসাব করা। অনুমোদন মিললে বিদ্যমান বিনিয়োগসীমার মধ্যে থেকে সমপরিমাণ অর্থ শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করার সুযোগ হবে। জানা যায়, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে এক্সপোজার হিসাব বিবেচনায় অ-রূপান্তরযোগ্য অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড বাদ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এই দুই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সহজতর হবে। এর ফলে বাংলাদেশের আর্থিক বাজার ও শেয়ারবাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে বিএসইসি। লিখিত প্রস্তাব দুটি গত ৪ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘শেয়ারবাজার তথা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবদান ১ শতাংশের নিচে, অথচ ভারতে এটি ১১ শতাংশ এবং উন্নত দেশগুলোতে ২০ শতাংশের বেশি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দক্ষ ব্যবস্থাপকের অধীন পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তাদের ক্ষতির আশঙ্কা কমবে, বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং সর্বোপরি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *