কারাগারে এক বছরের বেশি আটক থাকার পর এখন প্যারোলে মুক্ত সাহারা গ্রুপের প্রধান সুব্রত রায়। তবে বাইরে থাকলেও কারাগারের হাতছানি এড়াতে পারছেন না। কেননা, এখনও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের বিপুল অর্থ ফিরিয়ে দিতে পারেননি ভারতের শীর্ষস্থানীয় এ ধনকুবের। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিজের সম্পদ বিক্রি করে অর্থ ফিরিয়ে দেবেন_ এমন শর্তে কিছুদিন সাবজেলে রাখার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। তার কাছে পাওনার পরিমাণ সুদসহ ৩৭ হাজার কোটি রুপি। এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার কোটি রুপি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ৬০০ কোটি রুপি জমা দিতে না পারলে সাহারাপ্রধানকে আবারও কারাগারে যেতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যে ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির খোলা সেবি-সাহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে এ অর্থ জমা দিতে হবে। ২০১৪ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয় বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী সুব্রত রায়কে। দিলি্লর তিহার জেলে দীর্ঘদিন আটক ছিলেন তিনি। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সাহারা রিয়েল এস্টেট ও সাহারা হাউজিং ফিন্যান্স করপোরেশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বন্ডের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তোলেন তিনি। পরে তা আর ফেরত দেননি। ২০১২ সালে আদালত সুদসহ এ অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, সুব্রত রায় ভারতের পঞ্চম শীর্ষ ধনী। ১৯৭৮ সালে ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ প্রতিষ্ঠা করেন এ ধনকুবের। মহারাষ্ট্রে অ্যাম্বি ভ্যালি নামে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলে সুনাম অর্জন করে সাহারা।
আবাসন প্রকল্প দিয়ে শুরু হলেও এখন অর্থনৈতিক সেবা, জীবন বীমা, মিউচুয়াল ফান্ড, আবাসিক খাতে অর্থ জোগান, অবকাঠামো, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বিনোদন, চলচ্চিত্র প্রযোজনা, স্বাস্থ্যসেবা, পণ্য উৎপাদন, ক্রীড়া এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসা রয়েছে এ গ্রুপের। টাইম ম্যাগাজিনের তথ্যানুযায়ী, কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে ভারতে রেলওয়ের পর এ গ্রুপের অবস্থান দ্বিতীয়। ৬৮ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ীর আদি বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ