শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জটিলতা রয়েছে। অর্থ শেয়ারবাজারে থেকে সংগ্রহে সহজ নীতিমালা চেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পর্যাপ্ত না আসার জন্য অবকাঠামো অবস্থা বহুলাংশে দায়ী। অবকাঠামো খাত যত আধুনিকায়ন হবে তত বেশি এফডিআই আসবে। তবে এ খাতের বহু গ্রিন ফিল্ড প্রকল্প টাকার অভাবে কাজ করতে পারছে না। এক দিকে সুদের হার ঊর্ধ্বমুখী, অন্যদিকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন জটিলতার কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে ব্যবসা করতে হলে আগে তিন বছর ভালো ব্যবসা করে দেখাতে হবে। এর আগে টাকা সংগ্রহের কোনো উপায় নেই। আর তিন বছর পরে সেটা সম্ভব হচ্ছে কিনা তাও বলা মুশকিল। এতে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও বাড়ানো সম্ভব হয় না। তাই বাজেটে মেগা প্রকল্পসহ গ্রিন ফিল্ড কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে একটি পলিসি তৈরির প্রস্তাব করছি। যাতে তারা তিন বছরের আগেই শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ব্যবসায় উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। তাই আগামী ১৯, ২০ ও ২১ সালকে অবকাঠামোর বছর ঘোষণার দাবি জানায় ডিসিসিআই। এছাড়া সরকারের ভালো প্রকল্পগুলোকে পিপিপির (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় আনার কথা বলা হয়। এতে বিনিয়োগ বাড়বে। একই সঙ্গে একটি শক্তিশালী পিপিপি খাত গড়ে উঠবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
আবুল কাসেম খান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে ৪ থেকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিতে হবে। এটি হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিল্পের উন্নতি হবে অনেক বেশি। এতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বেড়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে, আগামী বাজেটে ৪১টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডিসিসিআই। এর মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বনিম্ন আয়সীমা আড়াই লাথ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া সবনিম্ন কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি আইপিও, অবকাঠামো ফান্ড, ইক্যুইটিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের জন্য নিট সম্পদের ওপর ধারাবাহিকভাবে সারচার্জ কমানোর প্রস্তাব করে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/টিএস