বাজেট প্রতিটি সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবাইকে প্রভাবিত করে। কিন্তু ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজ।
সোমবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৮-১৯: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তারা।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের একটা বিরাট ভাবমূর্তি দাঁড়ালো যে তারা বিরাট বাজেট দিয়েছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অন্যান্য কর্মসংস্থানের জন্য বাজেটে বিশেষ বার্তা থাকবে বলে ভাবা হয়েছিলো। কিন্তু এ বিষয়ে বাজেটে কিছুই বলা নেই। এমনকি বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারেও কিছু বলা নেই।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র মানুষরা তো শুধুমাত্র ডায়রিয়া ও পেটের অসুখে ভোগেন না। তাদেরও ব্যয়বহুল রোগ হচ্ছে। হাসপাতাল ভবন হলেও স্বাস্থ্য উপকরণ, যন্ত্রপাতি, রোগীদের পথ্য এগুলাতে বাজেটে আরো বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন ছিল। কেননা স্বাস্থ্যসেবা প্রাইভেট সেক্টরের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে তেমন নজর না দিয়ে মেগা প্রকল্পের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টগুলো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। কিন্তু বর্তমান সমস্যা ভুল না করে মেগা প্রজেক্টে হাত দিলে তা কোনোভাবেই জনকল্যাণমুখী হবে না।
তিনি বলেন, এনবিআর গতবারের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি। তাহলে এবার কি অবস্থা হবে? এছাড়া বেসরকারি অনেক বড় একটি আয়ের খাত হিসেবে ব্যাংকিং সেক্টর ও সঞ্চয়পত্রকে দেখানো হয়েছে। এমনিতেই ব্যাংকিং সেক্টর চাপের মুখে, তার উপর আবার এই চাপে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের উপর চাপ পড়বে। যার কারণে আমানত কমে যাচ্ছে ও সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে।
সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কলামিস্ট আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড