টানা দরপতনের ধারায় দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। গত সপ্তাহ জুড়ে লেনদেন শেষে সূচক ও লেনদেন কমেছে ডিএসইতে। এ সপ্তাহে টানা তিন দিন ডিএসইতে প্রধান সূচক কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি ঘোষিত চলতি অর্থবছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতিতে শেয়ারবাজারে জন্য নেতিবাচক কিছু না থাকলেও বাজার পড়তে দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়েই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এই সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ২৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪ টাকা।
এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক সপ্তাহে ১৯৪.৩৬ পয়েন্ট বা ৩.১৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ৬০২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ৩৪.৩৮ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ কমে ১৩৯৭ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ৭৬.৭৭ পয়েন্ট বা ৩.৩৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ২২২৭ পয়েন্টে।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩৭ পয়েন্ট বা ২.৮০ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাড়িয়েছে ১৮৬২৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩২২ পয়েন্ট বা ২.৭৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০৪ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ এবং সিএসআই ৩২ পয়েন্ট বা ২.৪৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৪৯, ১৪১০, ১৬৯৫৯ ও ১২৪৯ পয়েন্টে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিবার মুদ্রানীতি আসে। এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দর পড়ে। আবার কিন্তু ঠিক হয়ে যায়। আসলে মার্কেট যখন আপ হয়ে যায়, তখন আবার কমে। এই মার্কেটে সূচক কিন্তু সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজারে উঠে গিয়েছিল। এরপর যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার কিনেছে, তাদের তো এটা বিক্রির সময়। আস্তে আস্তে মূল্য সংশোধন হয়। তারা আবার কম দামে কিনবে। আসলে যারা কম দামে কিনতে চায়, তারা বাজার ফেলে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিন্তু তা বুঝতে পারে না।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বুঝে-শুনে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন বাজার বিশেঞ্গরা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ