২০১৬ সালে আইপিওর অনুমোদন কমার কারণ জানতে চায় আইএমএফ

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ২০১৬ সালে আইপিওর অনুমোদনের মাধ্যমে কোম্পানি তালিকাভুক্তির হার কমার কারণ জানতে চেয়েছে উন্নয়ন সহযোগী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে আইএমএফের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ সময় বিএসইসির পক্ষ থেকে দেশের শেয়ারবাজারে বিভিন্ন সংস্কার ও অগ্রগতির পাশাপাশি গেল বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) হ্রাসের কারণ তুলে ধরা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কেও আইএমএফের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয় বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বিএসইসির কাছে গত বছর আইপিও প্রবাহ হ্রাসের কারণ জানতে চায়। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের কারণে যেসব কোম্পানি পুরনো নিয়মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় ছিল, সেগুলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন করে আবেদন করতে হয়েছে। তাছাড়া সংশোধিত আইনে আরো বেশি ডিসক্লোজার সংযোজন করার বাধ্যবাধকতা যোগ হওয়ায় এগুলো পরিপালনে কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারদের কিছুটা সময় লেগেছে।

গত বছর মূলত এ কারণেই কোম্পানির তালিকাভুক্তি কিছুটা কমে গেছে। তবে আইপিওতে তালিকাভুক্তির হার কমলেও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সরবরাহের প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল বলে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছে কমিশন।

শেয়ারবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসির ভূমিকা তুলে ধরতে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়, বিভিন্ন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বর্তমানে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিগত কয়েক বছরে বেশকিছু সংস্কার করা হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, শনিবার আইএমএফের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। এ সময় তারা জানতে চেয়েছে, ২০১৬ সালে আইপিওতে কোম্পানির তালিকাভুক্তি কেন কমে গেছে। আমরা বলেছি পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধনের ফলে নতুন করে আবার আবেদন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় গত বছর আইপিও কিছুটা কম হয়েছে। তাছাড়া বাজারের উন্নয়নে আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়েও প্রতিনিধি দলটি জানতে চেয়েছে। আমরা তাদেরকে বিগত সময়ে বাজার উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছি।

উল্লেখ্য, আইএমএফের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান ব্রায়ান অ্যাটকিন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জিরি জোনাস এবং বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেলা কায়েন্দেরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *