২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৫৭০ কোটি ডলার

dolerস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫শ ৭০ কোটি ডলারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি ঋণ নিয়েছে। আগের বছরের ঋণের পরিমাণ ছিল ৩শ ২০ কোটি ডলার।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সাউথ এশিয়ার সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষণা বিভাগের বিশ্লেষক সৌরভ আনন্দ বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারনে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে টাকা। রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে ডলার ঘাটতিতে চাপের মুখে পড়তে পারে সরকার।

সম্প্রতি গ্লোবাল রিসার্চ ব্রিফিং: গ্লোবাল আউটলুক- ‘২০১৯ বর্তমান যুদ্ধ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডলারের দাম ক্রমশ বাড়ায় এটি বিনিময় হারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিদেশে আমদানি ব্যয় পরিশোধের স্থিতি ৫১৩ মিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে, যা একই বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫৪ মিলিয়ন ডলার।

স্ট্যানচার্টের গ্লোবাল রিসার্চ টিমের আসিয়ান ও সাউথ-এশিয়া এফএক্স গবেষণা বিভাগের প্রধান দেব্য দেভেশ্বর বলেন, অবকাঠামোগত প্রকল্পের চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি আমদানি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় পরিশোধের তুলনায় রপ্তানি আয় কম হওয়ার কারণে একটি ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও কিছুটা ঘাটতি দূর করেছে রেমিটেন্সে আয়।

এ সমস্যা কমাতে বাংলাদেশকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে এবং পরিশোধ ঘাটতি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে হবে।

চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ যা সরকারের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে কম। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিশ্ব মন্দা ও সংসদ নির্বাচনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্থবির হওয়ার কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেনি।

জিডিপির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বজায় রাখা উচিত। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য ব্যাংকিং সেক্টরে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির বেশি সুদে ঋণ বিতরণও দায়ী। এই সমস্যা সমাধানে আমানত সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া উচিত। যদিও ২০১৮ সালে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের গ্লোবাল মুখ্য অর্থনীতিবিদ ডেভিড মান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক চীনা বিনিয়োগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান বাণিজ্য সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এতে লাভবান হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *