২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিমানের লোকসান ২০১ কোটি টাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর (ফেনী-৩) প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
হবিগঞ্জ-১ আসনের গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিমানের লোকসানের পরিমাণ ছিল ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মন্ত্রী জানান, উড়োজাহাজের জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও এয়ারক্র্যাফট ক্রু মেইনটেন্যান্স ইনস্যুরেন্স (এসিএমআই) ভিত্তিতে উড়োজাহাজ ব্যবহারের কারণে লোকসান হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে উন্নত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৫৩টি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা বাংলাদেশে সপ্তাহে ৩২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এরমধ্যে ভারত ৫৩টি, ইউএই ৭৮টি, মালয়েশিয়া ৪২টি, সিঙ্গাপুর ১৬টি, ভুটান চারটি, কাতার ২৯টি, থাইল্যান্ড ২১টি, পাকিস্তান চারটি, কুয়েত ১২টি, সৌদি আরব ৩১টি, শ্রীলঙ্কা সাতটি, চীন ১৬টি, বাহরাইন পাঁচটি, আজারবাইজান তিনটি ও ওমান চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড