৩৮২টি হোল্ডিং ও ৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন

taxস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাজস্ব বাড়াতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান চিরুনি অভিযানে আজ বুধবার ৩৮২টি হোল্ডিং ও ৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ইতিপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি এ ধরনের হোল্ডিং পাওয়া যায়নি। তবে ৬টি হোল্ডিং ইতিপূর্বে অ্যাসেসমেন্ট করা হলেও পরবর্তীতে হোল্ডিংগুলো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সম্প্রসারিত এসকল হোল্ডিংকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। আজ বুধবার পরিদর্শনকৃত ৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করেনি, তবে ট্রেড লাইসেন্স নেই এ ধরনের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১৩৬টি হোল্ডিং পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ৩১৩টি হোল্ডিংয়ে ইতিপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি। এছাড়া ইতিপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হলেও ৬৬২টি ভবন পরে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এসকল ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টবিহীন হোল্ডিং এবং সম্প্রসারিত হোল্ডিংগুলোকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ১৯০টি প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করেনি এবং ৫৫৫টি প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করে আসছে। ব্যবসা পরিচালনার জন্য এসকল প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করতে হবে। উল্লেখ্য, আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে করের পরিধি (Tax Net) বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাসব্যাপী অঞ্চল-২ (মিরপুর) ও অঞ্চল-৫ (কাওরান বাজার) এ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ডিএনসিসির অন্যান্য অঞ্চলেও পরবর্তীতে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। এই চিরুনি অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, করের পরিধি বাড়ানো, বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভুক্ত করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণকে পৌরকর প্রদানে উৎসাহ প্রদান করা। চিরুনি অভিযানে কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর ও স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট, বাড়িঘর ও স্থাপনা করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও নবায়নের আওতায় আনা হবে। চিরুনি অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আহবায়ক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। একজন উপকর কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর এবং ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *