৫শ’ ইউনিট বিক্রির মাইলফলক অর্জন করলো এনার্জিপ্যাকের গ্ল্যাড জেনারেটর

WhatsApp Image 2020-09-24 at 4.56.38 PMস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত ডিজেল জেনারেটর ‘গ্ল্যাড’ -এর ৫শ’ তম ইউনিট বিক্রির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। এ উপলক্ষে সম্প্রতি গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত এনার্জিপ্যাকের নিজস্ব অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্টে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গ্ল্যাড-এর নামকরণ মূলত ‘বাংলাদেশ’ শব্দটির মধ্যম অংশ থেকে করা হয়। দেশপ্রেমের স্বাক্ষরস্বরূপ ২০১৫ সাল থেকে এনার্জিপ্যাক স্থানীয় বাজারের জন্য এই ডিজেল জেনেরেটরটি উৎপাদন করে আসছে। ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের জেনেরেটর নির্মাণখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসা এনার্জিপ্যাক বর্তমানে বছরে ৩শ’টি পর্যন্ত ডিজেল জেনারেটর উৎপাদনে সক্ষম, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২০ কেভিএ থেকে ১ হাজার কেভিএ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

গ্ল্যাড জেনারেটর তৈরি হয় বিশ্বখ্যাত পার্কিনস ইঞ্জিন, স্ট্যামফোর্ড/লেরয়-সোমার অল্টার্নেটর এবং উডওয়ার্ড, ডিপ সি বা কমঅ্যাপ -এর মতো সুপরিচিত কন্ট্রোলার দিয়ে। এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশে পার্কিনস ইঞ্জিনের একমাত্র পরিবেশক, যারা সার্বক্ষণিক গ্রাহক পরিসেবা নিশ্চিত করেছে। দেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেলসহ প্রথম সারির বিভিন্ন আবাসন সংস্থা, ওষুধ প্রতিষ্ঠান, তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এবং আরও অনেক উল্লেখযোগ্য শিল্প সংস্থায় বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে এনার্জিপ্যাকের গ্ল্যাড জেনারেটর। প্রতিযোগিতামূলক বাজারমূল্যেই আধুনিক ও উন্নত মানের এই জেনারেটর সরবরাহ করতে পেরে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত গর্বিত।

৫শ’ তম ইউনিট বিক্রির সাফল্য উদযাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্ল্যাড জেনারেটর উৎপাদনের অন্যতম পথিকৃৎ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। একদিন বিশ্ববাজারে গ্ল্যাড জেনারেটর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হুমায়ুন রশীদ।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড:

১৯৯৫ সাল থেকে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) সব সময় ‘এনার্জি ওয়ার্কস ওয়ান্ডার্সে’ বিশ্বাস করে। তাই, বাজারের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইপিজিএল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে এবং তাদের কর্মীদের জীবনমান উন্নীতকরণের পাশাপাশি এর গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র গুণগতমানের পণ্যগুলোর মাধ্যমেই নয় বরং এর পরিষেবাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, ইপিজিএল তার গ্রাহক এবং অংশীদার উভয়কেই পুরোপুরি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাত্রা শুরুর পর থেকেই, ইপিজিএল বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে সুপরিচিত উভয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমানে, ইপিজিএল এফজি উইলসন, পারকিনস, জেসিবি, জ্যাক, গ্ল্যাডদ, স্টিলপ্যাক, জি-গ্যাস, জন ডিয়ার, সিমেন্স এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।

ইপিজিএলের দুটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে – এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড এবং ইপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *