অনিশ্চিত গন্তব্যে শেয়ারবাজার। উধাও হয়ে যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। গত পাঁচ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন কমেছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে মূল্যসূচক কমেছে প্রায় এক হাজার পয়েন্ট। বহুজাতিক কোম্পানির বাজারমূলধন ধরে রেখেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা।
২৭ অক্টোবর ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা কমে ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসাবে পাঁচ মাসের ব্যবধানে বাজারমূলধন ৩০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তবে আলোচ্য সময়ে ১৩ কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর বাজারমূলধন ৬ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। এই মূলধন বাদ দিলে ৫ মাসে ডিএসইর বাজারমূলধন ৩৬ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
এ সময়ে মূল্যসূচক ৫ হাজার ১৫৭ পয়েন্ট থেকে কমে ৪ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। পাঁচ মাসে সূচক ৬৯০ পয়েন্ট কমেছে। তবে ১৩ কোম্পানি বাদ দিলে সূচক প্রায় এক হাজার পয়েন্ট কমেছে।
সূত্র জানায়, সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিসহ সরকারি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাজার ধরে রেখেছে। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এ দুরাবস্থা মানুষের নজরে আসছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে বাজারে আস্থাহীনতা চলছে। আর রাজনৈতিক সংকট না কাটলে বাজার ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বাজারে ডিবেঞ্চার এবং ট্রেজারি বন্ড বাদে বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ৩৩৮টি। কিন্তু অন্যান্য খাতের কোম্পানির শেয়ারমূল্যে বড় পতন হলেও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারে। বর্তমানে এ খাতের ১৩ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। তবে বাজারমূলধন ৯৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ অভিহিত মূল্যের চেয়ে শেয়ারের দাম গড়ে ৩২ গুণ বেশি। আর এ বাজারমূলধন ডিএসই’র মোট মূলধনের প্রায় ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু গ্রামীণফোনের বাজারমূলধন ৪৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বাজারমূলধনের ১৪ শতাংশ। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ১৩ হাজার কোটি টাকা। বহুজাতিক কোম্পানি বাদ দিলে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে এসেছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর