‌‌নাঈমুর রহমান দূর্জয় পরিচালনা বোর্ড হতে পদত্যাগ করেনি : ফু-ওয়াং ফুড

fuwanনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ফু-ওয়াং ফুড নিয়ে নানা অভিযোগের জল্পনা-কল্পনা উঠেছে। সম্প্রতি এক বিনিয়োগকারী করা এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা সংবাদ তুলে ধরেছে ফু-ওয়াং ফুড।

পরিচালনা বোর্ড হতে এম নাঈমুর রহমান দূর্জয় এমপির পদত্যাগের অভিযোগে কোম্পানিটি দাবি করছে, তিনি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড এর পরিচালনা বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেননি। তিনি গত ২৯-১০-২০১১ইং তারিখে কোম্পানীর বোর্ড সভায় ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং ২৮-১০-২০১৪ইং তারিখে তার মেয়াদ শেষ হলে একই তারিখে তিনি পুনরায় পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২৮-১১-২০১৬ ইং তারিখের বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। এ এম নাঈমুর রহমান গত ২৮-১০-২০১৭ইং তারিখে তার দ্বিতীয় মেয়াদে ৩ (তিন) বছর পূর্ন করেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্পোরেট গভর্নেন্স এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০১৬-১৫৮/১৩৪/এডমিন/৪৪ তারিখ ০৭-০৮-২০১২, ধারা ১.২(৬) অনুযায়ী একই ব্যক্তি একটি কোম্পানীতে পর পর ২ (দুই) মেয়াদ অথার্ৎ ৬ (ছয়) বছরের বেশী স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে থাকিতে পারিবেন না।

এ এম নাঈমুর রহমান, এমপি ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ-এর পরিচালনা পর্ষদ ও চেয়াম্যান এর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। পর পর ২ (দুই) মেয়াদ অর্থ্যাৎ মোট ৬ (ছয়) বছর মেয়াদ কাল পূর্ন হওয়ায় তাকে আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড প্রতি বছর ৩টি (তিন) কোয়াটারলি একাউন্স করে সময়মত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ, চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ-এ জমা দিচ্ছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে পাবলিস্ট করছে। বাংলাদেশ একাউনটিং ষ্ট্যান্ডার্ড , ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম মেনে সঠিক তথ্য তুলে ধরে বাৎসরিক হিসাব করা হচ্ছে এবং পরিচালক পর্ষদ দ্বারা গঠিত, অডিট কমিটির রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তালিকাভুক্ত অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করে সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা করা হচ্ছে, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে এবং শেয়ারহোন্ডারদের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

পরিচালনা বোর্ড প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকৃত মুনাফা তুলে ধরছেন এবং তার উপর লভ্যাংশ দিচ্ছেন এবং সিকিউরিটিজ আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল আছেন।

আর আদালত সংক্রান্ত যেসকল নির্দেশনা রয়েছে এখন পর্যন্ত কোম্পানির কাছে কোনো অফিসিয়াল চিঠি পাওয়া যায়নি।

কোম্পানির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার না থাকায় গত ২২-০৫-২০১২ইং তারিখে ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ এর ৩ জন পরিচালক, যথাক্রমে বেগম রোকেয়া আশরাফ, সু-চিন-হুয়া, মোঃ শাহাদাত হোসেন তাদের পরিচালক পদ হারান।

বর্তমানে পরিচালক বোর্ডে যারা আছেন, তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

এছাড়া এ এম নাঈমুর রহমান, এমপি ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ এর স্বতন্ত্র পরিচালক থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালক-এর শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কমল কান্তি মন্ডল ও বিপ্লব চক্রবর্তী উভয়েই সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত পরিচালক (শেয়ারহোল্ডার পরিচালক)। সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক নয়।

সুতরাং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এবং অন্যান্য যেকোন রেগুলেটরি আইনের প্রতি ফু-ওয়াং ফুড সব সময় শ্রদ্ধাশীল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *