1. যমুনা অয়েল
  2. স্কয়ার ফার্মা
  3. এমজেএল বিডি
  4. সাইফ পাওয়ারটেক
  5. পদ্মা অয়েল
  6. বেক্সিমকো
  7. তিতাস গ্যাস
  8. বেক্সিমকো ফার্মা
  9. গ্রামীণফোন
  10. মেঘনা পেট্রোলিয়াম

সাইফ পাওয়ারটেকের দর ১৩৯ শতাংশ বেড়েছে

SAIF powerনিজস্ব প্রতিবেদক : সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের শেয়ার দর লেনদেনের প্রথম কার্যদিবসে ১৩৯.৩৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রথম কার্যদিবসে ওপেনিং শেয়ার দর ছিল ৬০.১০ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬০.১০ থেকে ৮০ টাকায় ওঠানামা করে। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭১.৪০ টাকায়। এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪১.৮০ টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, সোমবার সাইফ পাওয়ারের মোট ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এবং ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৮০০টি শেয়ার ২১ হাজার ৯৯৮ বার হাতবদল হয়েছে। ‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় শুরু হয় এ কোম্পানির লেনদেন। পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগ পর্যন্ত এ কোম্পানিটি ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
ডিএসইতে কোম্পানির ট্রেডিং কোড SAIFPOWER এবং কোম্পানি কোড ২০৬২৫। শেয়ারবাজারে সাইফ পাওয়ারে মোট শেয়ার রয়েছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫.৪৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫.২২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯.৩২ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। মার্কেট লট ২০০ শেয়ারে। কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। লেনদেনের আগে সাইফ পাওয়ারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার জমা করেছে।

এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাইফ পাওয়ারের। চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকের (জানু-মার্চ’১৪) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি কর পরবর্তী কনসোলডিটেডে মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছর একই সময় থেকে কোম্পানির কনসোলডিটেডে মুনাফা বেড়েছে ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ২১ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ওয়েটেড এভারেজ আইপিও-পূর্ববর্তী পরিশোধিত শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়েছে যা ২০১৩ এবং ২০১৪ উভয় সালে ছিল ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ার। অবশ্য, ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে সমাপ্ত ৩ মাস সময়ের জন্য আইপিও-পরবর্তী ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে বেসিক ইপিএস হবে ৪৪ পয়সা
এদিকে জুলাই’১৩ থেকে মার্চ’১৪ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানি কর পরবর্তী কনসোলডিটেডে মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৫ টাকা, আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির কনসোলডিটেডে মুনাফা হয়েছিলো ৬ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ইপিএস হয়েছিলো ১.৪২ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ের চেয়ে মুনাফা বেড়েছে ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ইপিএস বেড়েছে ১৩ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ওয়েটেড এভারেজ আইপিও-পূর্ববর্তী পরিশোধিত শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়েছে যা ২০১৩ এবং ২০১৪ উভয় সালে ছিল ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ার। অপরদিকে, ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে (জুলাই ২০১৩-মার্চ ২০১৪) আইপিও-পরবর্তী ৫ কোটি ৫৮লাখ ৯৪ হাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারপ্রতি আয় ১.২২ টাকা এবং ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হবে ২৬.৭৫ টাকা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১ কোটি ২০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ৩৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে । এ জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ টাকা। ফেসভ্যালু অনুসারে সংগ্রহ করেছে ১২ কোটি টাকা। প্রিমিয়াম মাধ্যমে সংগ্রহ করে ২৪ কোটি টাকা। শুধু সাইফ পাওয়ার সুনামের কারণে প্রিমিয়ামের বিপুল অর্থ আদায় করেছে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। গত ৭ আগস্ট কোম্পানির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আর কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহন করা হয় ৬ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ ছিলো ১৯ জুলাই পর্যন্ত। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৪০ কোটি ৬২ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা উত্তোলনকৃত টাকা চেয়ে ৯.৪৬ গুণ। সাইফ পাওয়ার ২০০৩ সালে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫১৫তম সভায় কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পায়।