জীবন বীমা খাতের কোম্পানির তহবিল বেড়েছে

lifeনিজস্ব প্র্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে জীবন বীমা খাতের কোম্পানির তহবিলের পরিমাণ বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ চিত্র ফুটে ওঠে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তদারকিতে খাতটিতে শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরে এসেছে। মূলত এ কারণেই কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে, যার প্রভাব তহবিলে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, সন্ধানী লাইফের তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ড বেড়েছে ৫ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ২ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রূপালী লাইফের তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ড বেড়েছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জানুয়ারি

ডেল্টা লাইফের তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ইন্সু্যুরেন্স ফান্ড বেড়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ফারইস্ট ইসলামী লাইফের তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফান্ড বেড়েছে ৬৪ কোটি ৩ লাখ টাকা, যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড বাড়ল প্রবৃদ্ধি কমেছে। তৃতীয় প্রন্তিকে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৯২ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময় বাড়ে ১৪৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

তৃতীয় প্রান্তিকে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময় বাড়ে ৮ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা এর আগের বছর একই সময় বাড়ে ৮ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেমায়েত উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় রাজনৈতিক অবস্থা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যার ফলে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে এবং এর প্রভাব পড়েছে বীমা কোম্পানির তহবিলে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

তৃতীয় প্রান্তিকে বার্জার পেইন্টসের ইপিএস

betjerস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বার্জার পেইন্টসের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৩ পয়সা।  আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮ টাকা ৬৩  পয়সা। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেনে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মাসে (জুলাই,১৪-সেপ্টেম্বর,১৪) কোম্পানিটির কর পরবর্তী  মুনাফা কনসুলেটেড মুনাফা হয়েছে ২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা আগের বছর ছিল  ২০  কোটি ১ লাখ  টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এআর

রেকিট বেনকিজারের ইপিএস বেড়েছে ৪১ শতাংশ

rekitস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৭ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেনে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মাসে (জুলাই,১৪-সেপ্টেম্বর,১৪) কোম্পানিটির কর পরবর্তী  মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩  কোটি ৭৮ লাখ  টাকা এবং ইপিএস ছিল ৮ টাকা  ২ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এআর

শেয়ারবাজারে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি

bazerনিজস্ব প্র্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ২৭২টি কোম্পানি। এর মধ্যে অনেকেই আছে তিন বছর ধরে, যাদের দুই অঙ্কের ঘরে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সম্প্রতি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির এ ধরনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির একটি তালিকা করেছে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ তালিকায় দেশী প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে, একই সঙ্গে আছে বহুজাতিক কোম্পানিও।

এই তালিকার প্রথমেই রয়েছে ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এর পর রয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি এমআই সিমেন্ট। পরের আটটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আরগন ডেনিমস, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (আইপিডিসি), রেনাটা, জিপিএইচ ইস্পাত, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ও স্কয়ার ফার্মা।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেষ চার বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। শীর্ষ ১০ কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয়কে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। গত তিন বছরে দুই অঙ্কের ওপরে প্রবৃদ্ধি করেছে, এমন কোম্পানিকেই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি তিন বছরে কোনো পরিচালন লোকসান নেই, ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করেছে, কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন যথাযথভাবে পরিপালন করছে কিনা, বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এগুলোকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আরেকটি শর্ত হচ্ছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা। এসব শর্ত পূরণকারী কোম্পানিগুলোর গত তিন বছরের গড় প্রবৃদ্ধির ভিত্তিত্তে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে।

শর্ত পূরণ করে তিন বছরে গড়ে ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এমআই সিমেন্ট ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রয়েছে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানটিতে রয়েছে আরগন ডেনিমস। কোম্পানিটির গড় প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন গড়ে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

এছাড়া আইপিডিসির পরিচালন আয়ের বার্ষিক গড় এই প্রবৃদ্ধি ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। রেনাটার গত তিন বছরের গড় প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জিপিএইচ ইস্পাতের গড় প্রবৃদ্ধি ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। বেক্সিমকো লিমিটেডের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের গড় প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সর্বশেষ তিন বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর ওষুধ খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের গড় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর