স্বস্তি ফিরছে ইউরোপের শেয়ারবাজারে

euস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত একমাস জুড়ে চরম অস্থিরতার পর বৃহস্পতিবার কিছুটা ঘুরে দাড়িয়েছে ইউরোপের শেয়ারবাজার। এছাড়া সুচকও ছিল উর্দ্ধগামী।
ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

এদিন বেড়েছে মোট লেনদেনের পরিমান। তবে আশা দেখাতে পারেনি লন্ডন শেয়ারবাজার। ইউরোপের সব বড় শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে শুধুমাত্র লন্ডন শেয়ারবাজারে।

গতকাল  লন্ডন FTSE 100 Index ৫.৭৫ পয়েন্ট কমে ৬,৭২৩.৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে CAC 40 Index  ৮.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৪,৩৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্যদিকে Madrid General Index  ৮.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১,০৮৫.৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপের প্রভাব গতকালের বাজারে পড়ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

সূত্র : সিএনএন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরিকুল/এআর

শ্রমিক ফান্ডের টাকা বিতরণ করে না ঢাকা ডাইং

dhakaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শ্রমিক ফান্ডের টাকা বিতরণ করছে না ঢাকা ডাইং এ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এ ছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী সম্পদের হিসাব রাখা হয় না এ কোম্পানিতে। কোম্পানির ২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন মন্তব্য করেছে নিরীক্ষক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষকের পক্ষ থেকে এ কোম্পানির কতিপয় বিষয়ে আরও মন্তব্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ২৫৮ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৪ টাকা মূল্যের প্রোপার্টি, প্লান্ট এবং ইকুইপমেন্টের হিসাব রাখার জন্য হিসাব বই রয়েছে। কিন্তু কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ১৮১ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের বইতে যে সব তথ্য থাকে ঢাকা ডাইং এ্যান্ড ম্যানুফাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ক্ষেত্রে তা রাখা হচ্ছে না।

এ ছাড়া পুনর্মূল্যায়িত সম্পদের ওপর অপচয় ধার্য করার ক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হিসাবমান (বিএএস-১) এর সংশ্লিষ্ট প্যারাগ্রাফ অনুযায়ী অপচয় ধার্য করে। যা ১ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে কার্যকর করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী লাভ-লোকসান হিসাবে ‘আদার কম্প্রিহেনসিভ ইনকাম’ শিরোনামের অধীনে পুনর্মূল্যায়িত সম্পদের ওপর ধার্যকৃত অপচয় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

অথচ বিএএস ১ এর প্যারাগ্রাফ ৭ এ বলা হয়েছে ‘আদার কম্প্রিহেনসিভ ইনকাম’ লাভ-লোকসান হিসাবে আলাদাভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং টোটাল কম্প্রিহেনসিভ ইনকামের ভিতর লাভ এবং ক্ষতি এবং আদার কম্প্রিহেনসিভ ইনকাম অন্তর্ভুক্ত হবে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবশ্য ‘আদার কম্প্রিহেনসিভ ইনকামের’ ভিতর অন্তর্ভুক্ত পুনর্মূল্যায়িত সম্পদের ওপর ধার্যকৃত অপচয় বাদ দিয়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হিসাব করেনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরিকুল/এআর

ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের খবরে বেড়েছে ভারতের সূচক

bseস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গতকাল দিনের শেষে শেয়ার বাজার কিছুটা উপরে উঠেছে। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার সেনসেক্স পয়েন্ট ৫২.৭২ পয়েন্ট এবং নিফটি ১৮.৪৫ পয়েন্ট বেড়েছে। আজ জাতীয় আয়ের ত্রৈমাসিক পরিসংখান প্রতিবেদন বের হবার কথা। আর আগামি সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাংকের ও আর্থিক নীতির পর্যালোচনার কথা রয়েছে।

এদিন ভেল, হিন্দালকো, ইনফোসিসেস এর মতো সংস্থার শেয়ারের দাম বৃদ্ধি বোম্ব স্টক এক্সচেঞ্জের সূচককে ঠেলে উপরে তুলতে সাহায্য করেছে। দিনের শুরুতে বিএসই সূচক কিছুটা বেড়ে হয় ২৮ হাজার ৩৯৭ পয়েন্ট। কিছুক্ষনের মধ্যেই তা নেমে আসে ২৮,৩০৭ পয়েন্টে।

কিন্ত বিদেশি ও দেশীয় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপে সেনসেক্স উঠে এসে দিনের শেষে অবস্থান করছে ২৮ হাজার ৪৩৮ পয়েন্টে। তবে একসময় তা পৌঁছে গিয়েছিলো ২৮,৪৯৮ পয়েন্টে। এদিন নিফটিও দিনের শেষে অবস্থান করছে ৮,৪৯৮ পয়েন্টে। তবে এনএসই সূচক এদিন ঘোরা ফেরা করেছে ৮,৫০৬,৭৫ থেকে ৮,৪৫৬,৩৫ পয়েন্টে।

সূত্র- রয়টার্স

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরিকুল/এআর

অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

fuwanস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি মূলধন ১০০ কোটি টাকা থেকে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত  বাড়াবে। সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ কারণে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেশন সেন্টারে ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

শেয়ারবাজারের লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে

dse1নিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দর সংশোধন এখন পতনে রূপ নিয়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫৪৭ কোটি টাকা। ডিএসইর তথ্যানুসারে, ৯ নভেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৫৭ কোটি টাকা। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৩শ কোটি টাকারও নিচে। কমেছে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি।

আশঙ্কাজনকহারে কমেছে বাজার মূলধন। বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে এটাকে সহজভাবে নিতে পারছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা আবারও বাজার ২০০৯-১০-এর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। ফলে তারা বিনিয়োগ নিয়ে দোলাচলে পড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েকটি কারণে বাজারে এখন নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর একটি হচ্ছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে অস্বাভাবিকহারে সংশোধন হওয়া।

খাতভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য এবং ১ কোটি টাকার ওপর মার্জিন ঋণগ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠানো হচ্ছে এমন খবর। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারবিমুখ থাকাও বাজার পতনের আরও একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য মতে, গত ৯ নভেম্বর প্রধান সূচক অবস্থান করছিল ৫ হাজার ২৫ পয়েন্টে। সর্বশেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে তা ৪ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, বাজারে নতুন আসা কোম্পানিগুলো যখন সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন শুরু করে তখন সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয় বিনিয়োগকারীদের। কারণ এসব কোম্পানিতে অনেক সময় কারসাজির আশঙ্কা থাকে।

প্রথমে শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বেড়ে আবার অস্বাভাবিকহারে কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে মার্কেটে। আর এতে অসুবিধায় পড়তে  হয় সেসব বিনিয়োগকারীকে যারা বেশি দরে শেয়ার কেনে। তাই বিনিয়োগকারীদের বেশিদরে শেয়ার ক্রয় না করে কোম্পানির মৌলভিত্তির বিচারে শেয়ার কেনাবেচা করা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে