বিক্রির চাপে ভারতের শেয়ারবাজারে

sensexস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বিধানসভার ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপির ভাল ফলের খবরে শেয়ারবাজারে সূচক বাড়তে থাকে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপে শেষ পর্যন্ত বাজারকে নামিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছে দি হিন্দু।

মঙ্গলবার শুরুতে ১৫০ পয়েন্ট সেনসেক্স উঠলেও পরের দিকে তা নেমে যায় প্রায় ২০৬ পয়েন্ট ফলে দিনের শেষে এই সূচক অবস্থান করছে ২৭,৪৯৪.৯৪ পয়েন্টে৷ এদিন নিফটিও প্রথমে কিছুটা উঠে পৌঁছে যায় ৮৩৬৪.৭৫ পয়েন্টে কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিনের শেষে নেমে আসে ৮২৬০.৩৫ পয়েন্টে৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন ঝাড়খন্ড ও জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপির ভাল ফলের খবরে শেয়ারবাজার চড়তে থাকে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির চাপ বাজারকে নামিয়ে আনে৷

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি/এলকে

আরএসআরএমের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিল

RSRMস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের  (আরএসআরএম) উদ্যোক্তা পরিচালক শাসসুন নাহার রহমান কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ১১ লাখ ৬৪ হাজার শেয়ার বেচবেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শাসসুন রহমানের হাতে থাকা বিএসআরএমের ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ তিনি তার পোর্টফলিওতে থাকা ১১ লাখ ৬৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করবেন।

ঘোষণা অনুযায়ী তিনি বর্তমান বাজার দরে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার বেচা শেষ করবেন। তিনি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারগুলো বেচবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

আইপিওতে আইন অনুসরণের নির্দেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) কোম্পানির শেয়ারদর নির্ধারণে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এজন্য ইস্যুয়ার কোম্পানির প্রস্তাবিত শেয়ারদরের সপক্ষে দেয়া যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

১৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ চিঠি কমিশনে পাঠানোর পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন ও যৌক্তিকতার চেয়ে বেশি প্রিমিয়াম দেয়ার বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারদর নির্ধারণ-সংক্রান্ত কমিশনের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিতে ওই চিঠি দেয়া হয়। অবশ্য আইপিও নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা পাইয়ে দিতে হ্রাসকৃত মূল্যে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক রয়েছে অভিহিত দরে বিভিন্ন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন নিয়ে। আইপিও অনুমোদনের পর বিভিন্ন তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ইস্যুয়ার কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এমনকি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০০৬ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।

এদিকে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের চিঠি জনসম্মুখে প্রকাশ করায় বিব্রত বোধ করছেন বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

শেয়ারের প্রিমিয়াম নির্ধারণের ইস্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০০৬-এর অনুসারে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি উল্লেখ রয়েছে। ওই পদ্ধতিগুলোর সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবহৃত উপাত্তের নির্ভুলতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা আবশ্যক বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

ইফাদ অটোসের আইপিও লটারির ড্র চলছে

ifadনিজস্ব প্রতিবেদক :

ইফাদ অটোস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারি ড্র অনুষ্ঠান চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, আইপিওতে আবেদনকারীদের শেয়ার বরাদ্দ দিতে আজ ২৪ ডিসেম্বর সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে লটারি করার ঘোষণা দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, কোম্পানিটির আইপিওতে ৯২৫ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৯২১ কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ৭০০ টাকার এবং প্রবাসী আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা কোম্পানির উত্তোলনকৃত টাকর ১৪.৫১ গুণ। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্যানুযায়ী।

কোম্পানিটির আইপিওতে গত ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ ছিলো ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ইফাদ অটোস শেয়ারবাজার থেকে ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ছেড়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। ২০০টি শেয়ারে মার্কেট লট।

আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে (রিভেলুয়েশনসহ) ৪৪.১২ টাকা।

কোম্পানিটির আইপিওতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বেনকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে