ইতিবাচক ধারায় ভারতের শেয়ারবাজার

sensexস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বেশ কিছু দিন পড়ার পরে ফের ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করেছে শেয়ার বাজার। মঙ্গলবার সেনসেক্স বেড়েছে ২৪৫ পয়েন্ট। থিতু হয়েছে ২৭,৩৭১.৮৪ অঙ্কে। এই নিয়ে টানা দু’দিনে সূচক বাড়ল ৪০০ পয়েন্টের বেশি।

তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম এ দিন আরও ১০ পয়সা পড়েছে। প্রতি ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৩.৬৭ টাকায়। যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সব থেকে কম।

আমদানিকারীদের ডলার কেনার জেরেই বেড়ে যায় তার চাহিদা। যার ফলে টাকার অঙ্কে ডলারের দামও বেড়েছে। তবে বাজার সূত্রে খবর, শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করতে থাকায় দেশে ডলারের আমদানিও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। যা টাকার দামে বড় মাপের পতন রুখতে সাহায্য করেছে।

এক দিকে পড়তি বাজার আর অন্য দিকে দেশের আর্থিক অবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর আশাব্যঞ্জক মন্তব্য এই দু’টি বিষয়ই লগ্নিকারীদের শেয়ার কিনতে এ দিন উৎসাহ জুগিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এমনিতেই এর আগে বাজার টানা পড়ায় সেনসেক্স ২৮ হাজারের ঘর থেকে নেমেছে ২৭ হাজারের ঘরে। যাকে শেয়ার কেনার মূল্যবান সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন লগ্নিকারীরা।

পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন যে, এই অর্থবর্ষে দেশের বৃদ্ধিতে আরও গতি আসবে। এবং সেই গতি আগামী ২০১৫-’১৬ সালে আরও দ্রুত হবে। চলতি আর্থিক বছরে উন্নয়নের হার ৫.৫ শতাংশে ঠেকার ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন জেটলি। বাজারকে উৎসাহিত করেছে এই সমস্ত আশ্বাসও।

এ দিকে, দীর্ঘ দিন টানা বেচার পর ফের শেয়ার কিনতে শুরু করেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ওই সব সংস্থা গত শুক্রবার ভারতের বাজারে প্রায় ৪০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। যদিও সাধারণত ওই সব সংস্থা প্রতিদিন যে-পরিমাণ শেয়ার কেনে, তার তুলনায় কেনার পরিমাণ কম ছিল। কিন্ত দীর্ঘ দিন বাদে তাদের ফের ক্রেতার ভূমিকায় দেখে শেয়ার বাজার মহল খুশি।

তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেটের আগে বাজারে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা কম। তাঁদের ধারণা, বাজেট পর্যন্ত পড়তি বাজারে শেয়ার কিনে দাম অল্প কিছুটা বাড়লেই তা বিক্রি করে দেওয়ার প্রবণতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদি লগ্নি আসার সম্ভবনা এই মুহূর্তে তেমন দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এ দিন বিশেষ করে বেড়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ আইটিসি, টিসিএস, টাটা মোটরস, হিরো মোটো কর্প ইত্যাদি সংস্থার শেয়ার দর।

সূত্র-আনন্দবাজার

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি

নিম্নগামী সূচকে বছর শেষ করলো জাপান শেয়ারবাজার

japanস্টকমার্কেট ডেস্ক :

২০১৪ সালটি বেশ ভালোই কেটেছে জাপান শেয়ারবাজারের জন্য। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে প্রায় সারা বছরই সূচকের উর্দ্ধমূখী প্রবনতা বজায় ছিল বাজারে। এ বছর রেকর্ড সূচক বৃদ্ধির ঘটনাও ঘটেছে। তবে বছরের শেষ দিনটি মোটেও ভাল যায়নি।

মঙ্গলবার হটাৎ করেই স্থবির হয়ে পড়ে শেয়ারবাজার। নতুল বছরের প্রাক্কালে বাজারে লেনদেনের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সূচক কমেছে প্রায় ২৮০ পয়েন্ট । মোট লেনদেনের পরিমানেও তেমন কোন বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি।

গত ১৮ নভেম্বর রেকর্ড ৩৭০ পয়েন্ট বেড়েছিল সূচক । মঙ্গলবার দিনশেষে Nikkei Index মাত্র ২৭৯.০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭,৪৫০.৭৭ পয়েন্টে। এর আগে সোমবার ১৭,৭৩০ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন মন্দা কবলিত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারের দেওয়া পদক্ষেপে শেয়ারবাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও এখনো স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরতে পারেনি জাপানের শেয়ারবাজার। তবে আসছে বছরে আরো ভালো কিছুর দিকে তাকিয়ে আছে বিনিয়োগকারিরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি

দুই হাজার কোটি টাকা গেল রাইট শেয়ারে

right sahareনিজস্ব প্রতিবেদক :

২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি রাইট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২ হাজার ৬৩ কোটি টাকারও বেশি মূলধন বৃদ্ধি করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিগুলো মূলধন বৃদ্ধি করে। এরমধ্যে ৩ কোম্পানি অনুমোদন পেয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে ।

এ বছরের আরো ১১ কোম্পানি রাইট শেয়ার বিক্রি করে বৃদ্ধির অনুমতি চাইলেও  বিএসইসি ওইসব আবেদন গ্রহণ করেনি।

বিএসইসি সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর অনুমোদন পেয়ে চলতি বছর রাইট শেয়ার বিক্রি করে সর্বাধিক ১ হাজার ৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা মূলধন বৃদ্ধি করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি।

চলতি বছর রাইট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে আরামিট সিমেন্ট ২৫ কোটি ৪১ লাখ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংক ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ, ডেল্টা স্পিনার্স ৯১ কোটি ৭৩ লাখ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ২০৫ কোটি ৭২ লাখ, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস ১১২ কোটি ৪৮ লাখ, মাইডাস ফাইন্যান্স ৬০ কোটি ১৩ লাখ এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩৬ কোটি ২ লাখ টাকা মূলধন বৃদ্ধি করেছে।

শর্ত পরিপালন না করায় এ বছর রাইট শেয়ারের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি- বঙ্গজ লিমিটেড, বীচ হ্যাচারি, আইএফআইসি ব্যাংক, জিএসপি ফাইন্যান্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ডায়িং এবং সাফকো স্পিনিং লিমিটেড।

তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই রাইট শেয়ার বিক্রির অনুমতি চাওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়নি জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, মোজাফফর হোসেইন স্পিনিং মিলস এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড।

অন্যদিকে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করলেও কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা তা অনুমোদন করেননি। এ ছাড়া তাল্লু স্পিনিং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ একই ধরনের প্রস্তাব এনে পরে ফিরিয়ে নিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর