ডিএসইতে ন্যাশনাল ফিড ও সিঅ্যান্ডএর অনুমোদন

boardনিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া শেষে লেনদেনের অপেক্ষায় থাকা দুই কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি দুটি হলো- ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আজ মঙ্গলবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ন্যাশনাল ফিড গত ২৭ নভেম্বর আইপিও লটারির ড্র সম্পন্ন করেছে। এই কোম্পানির আইপিওতে ৪৫গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। কোম্পানিটি ১৮ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যুর জন্য আবেদন করেছিল। এর বিপরীতে ৮১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আইপিও লটারির ড্র শেষ করেছে। এই কোম্পানির আইপিওতে ৪৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৮৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে; যা কোম্পানির চাহিদার ১৯ দশমিক ৫২ গুণ বেশি আবেদন।

সিএন্ডএকে ৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের দর বাড়ার কোনো কারণ নেই

standaerdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস লিমিটেডের শেয়ার দর বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি কতৃপক্ষ এমনটাই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।

জানা গেছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

শেয়ার দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৫ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ১ দিন শেয়ারটির দর কমেছে। একই সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। অর্থাৎ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৫ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কতৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে

আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে চায় রবি‌‍‌

robiনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আগামী ২০১৬ সালের আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় আসতে চায় না বেসরকারি টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি। তাই শিগগিরই আইপিওতে না আসার জন্য শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) মূলতবির সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে টেলিকম খাতের এ কোম্পানি।

গত ২৯ ডিসেম্বর রবির প্রধান অর্থ কর্মকতা (সিএফও) ইয়াপ ওয়াই ইয়েপ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিএসইকে জানানো হয়েছে, রবির বর্তমান পরিস্থিতি আইপিওতে শেয়ার ছাড়ার পক্ষে সহায়ক নয়। তাই আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো উচিত।

এর আগে রবির আইপিও প্রক্রিয়া মুলতবির জন্য সাধুবাদ জানিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি রবি তৃতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স বা থ্রি জির লাইসেন্স পেয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই সেবা প্রদানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নতুন করে তরঙ্গ বরাদ্দের উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ২০১৫ সালে বরাদ্দকৃত এই তরঙ্গ আমাদের জন্য অনুকূল কিনা? কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিম প্রতিস্থাপনের দাবি, যা এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে, বিশেষ করে রবির ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে বিঘ্নিত করবে।

কমিশনও লক্ষ্য করেছে যদিও ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশ থাকে তবুও আইপিওতে আসার পক্ষে কোম্পানিগুলোর পক্ষে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা থাকছে না। কারণ, বিদ্যমান কর আইনে বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি কর দিচ্ছে, যা এখন রয়েছে মোট ৪৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলোও একই হারে কর প্রদান করছে। তামাক কোম্পানিগুলো সাধারণত সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যে উৎপাদন করে থাকে যা, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপরপক্ষে, টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিগুলো দেশ গঠনে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করছে। তবুও কোম্পানিগুলোকে সমহারে কর দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবি অর্থমন্ত্রীর কাছে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ছাড়া না ছাড়ার কথা জানিয়েছিল।

এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আইপিও মুলতবির সিদ্ধান্ত বৃহত্তর বাজারের অবিশ্বাস ও আর্থিক বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করবে। এই পরিস্থিতিতে রবি আবারও নিজেদের অঙ্গীকার পুনরাবৃত্তি করছে যে, আগামীতে আরো ভাল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে কোম্পানিটি বাজারে আইপিওয়ের মাধ্যমে শেয়ার ছাড়বে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি রবির বাজারে শেয়ার ছাড়ার মতো উপযুক্ত নয়। তাই আগামী ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইপিও পক্রিয়া মুলতবি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ার হল্টেড

standaerdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার লেনদেনের মাঝে বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের। এতে শেয়ারটি হল্টেড হয়ে মূল্য স্পর্শ করছে সার্কিট ব্রেকারে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার লেনদেনের ২ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কোম্পানির স্ক্রীনে সর্বশেষ ২ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেখাচ্ছিল।

কিন্তু বিক্রেতার ঘরে কোনো শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব ছিল না। হল্ডেট হওয়ার আগে সর্বশেষ লেনদেনটি হয় ৪৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

গতকাল এই শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ৫০ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে