ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটা বাড়ানোর সুপারিশ

ipoনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ২০১০-২০১১ এর ধসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বরাদ্দ ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্দি করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এ সরকারের নিকট ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত এ সুবিধা বৃদ্দির সুপারিশ করে।

২০১২ সালে হ্মতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য এই কোটা চালু করা হয়, যা জুন মাস অর্থাৎ ৩১ জুন ২০১৫ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিঠির প্রধান ও সিকিউিরিটজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে এ কমিটি একটি চিঠির মাধ‌্যমে সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাছে এই সুপারিশ পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা এবং হ্মতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে এই খাতে সরকারের বিদ্যমান এই সুবিধা আগামী ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা দরকার।

এর আগেও এই কোটা বরাদ্দের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ায় সরকার।

এ বৈঠকে সরকারের ৯০০ কোটি টাকার পূন: অর্থায়ন তহবিলের সময়সীমাও বাড়ানো হয়, যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই তহবিলের আওতায় চলতি বছরের ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৭১৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের খুবই কম সুদে ৪৮৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর মাধ্যমে এই ঋণ দেয়া হয়।

ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৩০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেডকে

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জ সুরমা

Lafarge-Surma-Cement smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিমেন্ট শিল্প খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

পাঁচ কার্যদিবস মিলিয়ে এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির মোট ৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট লেনদেনের ৪.২১ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির মোট ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ২৩৪ টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

লেনদেনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্স-ফার্মা ও স্কয়ার ফার্মা। কোম্পানি দুটির যথাক্রমে ৫৮ ও ৫২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, গ্রামীন ফোন, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইফাদ অটোস ও এএফসি এগ্রো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এএআর

গ্রিস-আতঙ্কে ভারতের শেয়ারবাজার

indiaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

অনিশ্চয়তার হাওয়া বইছে ভারতের শেয়ারবাজারে। বুধবার ২০ পয়েন্ট নেমে নিফটি বন্ধ হয় ৮৩৬০ পয়েন্টে। সেনসেক্সের অবস্থান ২৭৭২৯ পয়েন্টে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের কাছে গ্রিসের বিপুল দেনা ভাবাচ্ছে দেশটির শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে।

দেশটির গনমাধ্যম দাবি করছে, বর্ষা এসে গেছে। বৃষ্টি কতটা হবে তা নিয়ে উদ্বেগ অনেকটাই উধাও হয়েছে। তবে কর্পোরেট ফলাফল তেমন উৎসাহ সঞ্চার করতে পারছে না৷‌ এই অবস্থায় শেয়ার ট্রেডাররা না পারছেন দীর্ঘমেয়াদের লগ্নিতে ঢুকতে (লং পজিশন), না পারছেন ‘শর্ট সেল’ করতে (আগাম বিক্রি)।

এখন বাজার উঠবে না পড়বে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো খুবই কঠিন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যাদের শর্ট পজিশন ছিল তারা ঝুঁকি টেনে নিয়ে চলতে চাইছেন না তাই বেচাকেনা করে শর্ট পজিশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, ‘সেল অ্যাট এভরি র্যালি’৷‌ অর্থাৎ বাজার কিছুটা উঠলেই মুনাফা তুলে নাও। হাতে শেয়ার ধরে রেখ না। টার্গেট দামের কাছাকাছি এলেই হাতের শেয়ার বেচে দাও। অনেকে মনে করছেন এখন বড় কোনও ‘র্যালি’ (সেনসেক্স সূচকের উত্থান) আসবে না।

অনেকে মনে করছেন, শেয়ার বাজারে কিছুটা পতন আসতে পারে। আর তা যদি হয়, সেটাই হবে ভাল শেয়ার কিনে রাখার উপযুক্ত সময়। চলতি বছরের শেষ থেকে কর্পোরেট ফলাফল ক্রমশই ভাল হবে। বর্ষা ঠিকঠাক হলে কৃষি উৎপাদনের হারও থাকবে সন্তোষজনক।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলি বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতিতে গতি আসবে এবং তার সুফল দেখা যাবে আগামী ৮-১০ মাসের মধ্যে। গ্রিসের দেনা সমস্যার কোনও একটা সমাধান বের হবে এরই মধ্যে। বিশ্বের অর্থ বাজারে কোনওরকম গন্ডগোলের খবর নেই৷‌ জ্বালানি তেলের দাম কমে স্থিতিশীল জায়গাতে আছে৷‌ এরকম চললে পরে ২০১৬-তে শেয়ার বাজারে আরেকটা বড় উত্থান বা র্যালি দেখা যাবে৷‌

২৩ জুন পর্যন্ত টানা ৮ দিনের উত্থানে শেয়ারসূচক উঠেছিল ১৪৩৩ পয়েন্ট। প্রশ্ন ছিল বুধবারের ট্রেডিং-এ নিফটি ৮৪০০ পয়েন্ট পার না করতে পারলে আবার ৮০০০-এ নামার আশংকা ছিল।

গ্রিসের দেনা নিয়ে নেতিবাচক খবর আসার পর সূচকে পতন আসে৷‌ গ্রিস সরকার জানায় তাদের দেনা মেটাবার জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে তা খারিজ হয়ে গেছে। এই দিন গ্রিস-সহ ইউরোপের শেয়ার বাজারগুলিতেও পতন আসে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/টিআই

দেশীয় বাজার থেকে কনডেনসেট কিনবে পেট্রোম্যাক্স

sahjiস্টকমার্কেট ডেস্ক :

পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড এখন থেকে দেশীয় বাজার থেকেও কনডেনসেট কিনবে। এ লক্ষ্যে কোম্পানি রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানি এত দিন দেশের বাইরে থেকে কনডেনসেট (পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন) আমদানি করত। জানা গেছে, পেট্রোম্যাক্স দুই বছরের জন্য এই চুক্তি করেছে। আশুগঞ্জ কনডেনসেটের প্রাপ্যতা অনুযায়ী আরপিজিসিএল ১ লাখ ৫০ মেট্রিক টন কনডেনসেট যোগান দেবে।

উল্লেখ্য, পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এইচ

সিএসইতেও সাপ্তাহিক লেনদেন কম

cseস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জে (ডিএসই) র মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে। এ সময় কমেছে মূল্য সূচকও। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫২ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০২ কোটি ২৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার। এ সময় লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫ টির, দর কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭ টির।

গত সপ্তাহে ডিএসইতেও মোট লেনদেনের পরিমান ও সূচক কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এইচ