পিপলস লিজিংয়ের ৫ পরিচালককে অপসারণ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

peoples - Copyনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেড’ এর পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ শ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিষ্ঠানটির অব্যাহতিপ্রাপ্ত পরিচালকরা হলেন – আরেফিন সামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন মিয়া, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন।

গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মাহাবুবা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান ও সাবেক এই পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে আরো জানা যায়, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ পরিচালক বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই কৌশলে সাড়ে পাঁচ শ কোটি টাকা তুলে নেন।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে টাকা আদায় ও সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ জুনের মধ্যে পরিচালকরা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিপলস লিজিংয়ে বিশেষ পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। কিন্তু বরখাস্ত হওয়া ওই পাঁচ পরিচালক কয়েকবার সময় বাড়িয়ে নিয়েও ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক শেষ পর্যন্ত তাঁদের অব্যাহতি দেয়।

সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সদ্য অব্যাহতি পাওয়া পরিচালক মতিউর রহমান লিজিং কোম্পানি থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ১১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। একইভাবে খবিরউদ্দিন মিয়া নিয়েছেন ১০৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর নার্গিস আলামীন নিয়েছেন ২৯৮ কোটি টাকা। এভাবে পাঁচ পরিচালক বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দফা সময় বাড়ালেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঋণ পরিশোধ না করে এ নিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ পরিচালককে বাংলাদেশ ব্যাংক অব্যাহতি দিয়েছে। তাই বলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারদের এ নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। যারা ঋণ নিয়েছে তারা চেষ্টা করছে ঋণ পরিশোধ করার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মিশুক/বি

কারণ ছাড়াই আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বৃদ্ধি

Anwar-Galva-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে যে, কোম্পানিটির শেয়ারের দর বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৭ জুলাই কোম্পানির শেয়ারের দর ছিল ৪১ টাকা। গতকাল ৫ আগষ্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৬০ টাকাযর উপরে। এসময় ৩ কার্য দিবস শেয়ারটির দর কমলেও বাকি দিন দর বেড়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য আছে কি না – তা জানতে চায় ডিএসই। এ সময় আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য কোম্পানির কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি

কাসেম ড্রাইসেলের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

qasem 1স্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ড্রাইসেল লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৮ জুলাই কোম্পানির শেয়ারের দর ছিল ৫৬.৫০ টাকা। গতকাল ৫ আগষ্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকাযর উপরে। এসময় ২ কার্য দিবস শেয়ারটির দর কমলেও বাকি দিন দর বেড়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য আছে কি না – তা জানতে চায় ডিএসই। এ সময় কাসেম ড্রাইসেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য কোম্পানির কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি