লেকচার ইক্যুইটির আইপিও আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

lecture-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

মিউচুয়াল ফান্ড খাতের এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ৮ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১২ অক্টোবর কমিশন সভায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরিতে ১০ টাকা মূল্যের পাঁচ কোটি ইউনিট ছাড়বে।

মোট পাঁচ কোটি ইউনিটের মধ্যে আড়াই কোটি ইউনিটের রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের ৫০ লাখ ইউনিট, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৫০ লাখ ইউনিট, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ৫০ লাখ ইউনিট এবং দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের এক কোটি ইউনিট রিজার্ভ আছে।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ী অবশিষ্ট থাকা আড়াই কোটি ইউনিটের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডের ২৫ লাখ ইউনিট, অনাবাসী বাংলাদেশিদের ২৫ লাখ ইউনিট, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ আর বাংলাদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক কোটি ৫০ লাখ ইউনিট বণ্টন করা হবে।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা লেকচার পাবলিকেন্স লিমিটেড। ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড (বিজিআইসি)।

কাস্ট্রোডিয়ান হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। ফান্ড সংগ্রহে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে কাজ করছে স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে পিই .৩৭ কমেছে

peস্টকমার্কেট ডেস্ক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এই পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট।

সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতের ২০ দশমিক ৪ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১০ দশমিক ৯ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ৩১ দশমিক ১ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৩৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে ও বস্ত্র খাতের ১২ দশমিক ৪ পয়েন্ট।

এছাড়া প্রকৌশল খাতের ২৯ দশমিক ৯ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ৩১ দশমিক ৫ পয়েন্ট, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ১৭ দশমিক ১ পয়েন্টে, পাট খাতের মাইনাস ২৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩০ দশমিক ৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতের ১১ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২২ দশমিক ৩ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৩৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর

tribunal-picনিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে শেয়ারবাজারসংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইবুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম এ রশিদ খানের সাক্ষ্যের ওপর জেরা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় জেরা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তারপর শুনানির নতুন তারিখ ঘোষণা দেন বিচারক।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন- প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও র‌্যাংকস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক এবং এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেন। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার লেনদেনে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের এক লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে এক লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের দুই লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশি ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছেন।

এসব শেয়ার অপারেটের মাধ্যমে আসামিরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২১ ধারার বিধানমতে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

প্রতিবেদনে আসামিরা বিধান লঙ্ঘন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়

প্রথম দিনেই কেডিএসের দর ৩ গুণ

kds-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই কেডিএস এক্সেসরিজের শেয়ারের দর তিন গুণের বেশি বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

২০ টাকা অভিহিত মূল্যে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনে আসে কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ।

দিন শেষে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬৪ টাকা ৭ পয়সা বেড়ে ৮৪ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে।

বৃহস্পতিবার কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের শেয়ারের লেনদেন শুরুই হয় ৫৫ টাকা বেশি দর দিয়ে। দিনের লেনদেনে কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ৯৩ দশমিক ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ৬৪ টাকা।

বাজার বন্ধ হওয়ার সময় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৮৫ দশমিক ৮ টাকা।

প্রথম দিনে ২৩ হাজার ৯৩৯টি হাওলায় ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। হাতবদল হওয়া শেয়ারের মোট দাম ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ ২ হাজার টাকা।

এক কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে এসেছে কেডিএস এক্সেসরিজ।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ২০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন পায় কোম্পানিটি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর এ কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এতে চাহিদার তুলনায় ৩৪ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে আইপিওতে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১.২২%

index upনিজস্ব প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। এসপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

গত সপ্তাহের ১১ হতে ১৫ অক্টোবর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩২ হাজার ১৪৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮ হাজার ৯৮৪ টাকার শেয়ার। এ সময় ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

অন্যদিকে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ বা ১০৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৪৯ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ বা ৩৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ২৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।