সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৮০ শতাংশ

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ সপ্তাহে বেড়েছে প্রতিদিনের গড় লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বেড়েছে ৭৯.১৯ শতাংশ। সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২,১৮৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। যা আগের সপ্তাহে এ লেনদেন হয়েছিল ১২২০ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার। এ হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা। আর আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৫ কোটি টাকার শেয়ার। প্রতিদিনের গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৩.৩৫ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯০ দশমিক ৬১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে/এমএ

২০১৫ সালে আইপিওতে শীর্ষে ইউনাইটেড পাওয়ার

ipoনিজস্ব প্রতিবেদক :

২০১৫ সালে শেয়ারবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে ১২টি কোম্পানি ৮৩০ কোটি টাকা তুলে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি কোম্পানিই প্রিমিয়াম নিয়েছে। আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ শেয়ারহোল্ডার কাছ থেকে নেওয়া ৮৩০ কোটি টাকার মধ্যে প্রিমিয়াম বাবদই নেওয়া হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। এ বছর আইপিওতে অর্থ উত্তোলনের শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালে সব থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রীড। এই প্রতিষ্ঠানটি আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২৩৭ কোটি টাকা তুলেছে। এরমধ্যে প্রিমিয়াম বাবদই নেওয়া হয়েছে ২০৪ কোটি টাকা।

এর পরের স্থানে রয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। এ প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তুলেছে ১২৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রিমিয়াম হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। আমান ফীডস অর্থ তুলেছে ৭২ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রিমিয়াম বাবদ নেওয়া হয়েছে ৫২ কোটি টাকা।

তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ ৬৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রিমিয়াম হিসেবে নেওয়া হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ স্টিল রোলিং ৪৩ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ উত্তোলন করেছে ৬১ কোটি টাকা। ৩০ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৬০ কোটি টাকা তুলেছে সায়েম টেক্স। ১২ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৪ কোটি টাকা তুলেছে কেডিএস এক্সসরিজ।

এছাড়া ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭০ কোটি, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড ৬০ কোটি, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২৫ কোটি, অলেম্পিক এক্সেসরিজ ২০ কোটি এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালট্যান্টস ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।

আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ২০১৪ সালে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন কমেছে ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজার যতটা ভালো ছিল ২০১৫ সালে বাজার ততোটা ভালো ছিল না। লেনদেনও কমে গেছে। যে কারণে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে/এমএ