সাবসিডিয়ারিতে ৫০%র বেশি পরিচালক থাকলে ব্যবস্থা নিবে বিএসইসি

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানে মূল কোম্পানি থেকে ৫০ শতাংশের বেশি পরিচালক থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য ব্যাংক-বিমা ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের পর্ষদের হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। চিঠিতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হোল্ডিং ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ-সম্পর্কিত সব তথ্য বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, নির্দেশনার দুই বছর অতিক্রম করলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন না করায় তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এ লক্ষ্যে ২৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারসহ ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে তাদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্যারেন্ট ও সাবসিডিয়ারি উভয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ-সম্পর্কিত সব তথ্য বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে তাদের পর্ষদে মূল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব কমানোর উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ লক্ষ্যে কমিশনের আইন সংশোধন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো তা পরিপালন না করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো নির্দেশনা পরিপালন করেনি, তথ্য পাওয়ার পর তাদের আবারো সময় বেঁধে দেয়া হবে। এর পরও কেউ না পারলে তাদের জরিমানা, নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারিগুলোর স্বাধীন কার্যক্রম নিশ্চিত করা ও মূল প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে ২০১০ সালে সাবসিডিয়ারির পর্ষদে হোল্ডিং কোম্পানির প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে বছরের ১৫ জুন এ জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিওএস সার্কুলার নং ৪-এ শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও ব্রোকারেজ কার্যক্রমকে ব্যাংক থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করার নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই নির্দেশনার আলোকে ২০১২ সালের মার্চে সাবসিডিয়ারিতে মূল প্রতিষ্ঠানের পরিচালক-সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন-২০০০ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসি। এতে সাবসিডিয়ারির পর্ষদে মূল প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ শতাংশের বেশি পরিচালক থাকলে তাদের নিবন্ধন আবেদন নামঞ্জুরের কথা বলা হয়, যা ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করার কথা।

২০১২ সালের ১১ মার্চ সাবসিডিয়ারিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ গঠন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিএসইসি বলে, কোনো সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে উদ্যোক্তা কোম্পানির মনোনীত সদস্যের সংখ্যা যদি ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তবে সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সেবার নিবন্ধন সার্টিফিকেটের আবেদন নামঞ্জুর হবে। এ বিষয়ে ২০১৩ সালে নির্দেশনা জারি করা হলেও অনেক সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান তা মেনে চলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিএসইসির এ নির্দেশনার পর নতুন মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারগুলো আইন মেনে মূল প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশের কম পরিচালক নিয়েই নিবন্ধন নিয়েছে। আর নির্দেশনার আগে নিবন্ধন নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তা পরিপালনে চিঠি দেয় কমিশন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এলকে

ডিএসইতে সপ্তাহের লেনদেন কমেছে ২৬.৮৪%

low indexস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার অংকে মোট লেনদেন ২৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। লেনদেনের সঙ্গে সব ধরনের মূল্য সূচকও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৭৮৯ কোটি ৪৭ টাকার।

এ সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১.৮১ শতাংশ বা ৮৪.৩৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১.২৫ শতাংশ বা ২১.৮৭ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১.৩১ শতাংশ বা ১৪.৬৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির। এসময় সপ্তাহে ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

কমিশনার আরিফ খানের পদত্যাগ

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার আরিফ খান পদত্যাগ করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সাইফুর রহমান।

তিনি জানান, বুধবার আরিফ খানের এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তার এ পদত্যাগ কার্যকর হবে। একান্ত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কমিশনার আরিফ খান পদত্যাগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

শেয়ারবাজারে আইন প্রয়োগ করতে পারছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থা : ডিএসই

DSE20160128092105নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের নিয়ম নীতি করা হয়েছে। কিন্তু আইনের পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসসি) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ডিএসই-এর চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু নিয়ম নীতি করা হয়েছে। স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালু, কর্পোরেট গর্ভনেন্স গাইড লাইন বাধ্যতামূলক, অডিটরস প্যানেল গঠন, বিএসইসির স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বেশ কিছু আইন সংস্কার করা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক মানের কিন্তু এগুলোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

ভবিষ্যতে এগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, দেশের পেক্ষাপটে পুঁজিবাজার উন্নয়ন হচ্ছে তবে যে হারে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হচ্ছে না।

গত বুধবার ২৯ ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটার সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মোবাইল অ্যাপস চালু হবে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালু করতে সিস্টেমে পরিকল্পিত ও পরিক্ষিত আপগ্রেডের কাজ করা হয়। এ সময় সাইলোর কিছু সমস্যা হলে ডিএসইর ২৩৬টির মধ্যে ২৯টি ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। বিষটি এখন তদন্তাধীন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে শেয়ারবাজারকে জুয়াখানা ও গুজবের বাজার বলে উল্লেখ করেছেন একটি সরকারি সংস্থার প্রধান নির্বাহী, এর প্রতিক্রিয়ায় ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারকে জুয়াখানা বলা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে পুঁজিবাজারে শেয়ার দর ওঠানামা করবে এটাই নিয়ম, পৃথিবীর সব শেয়ারবাজারে দর ওঠানামা করে। এটা কোনো ভাবে জুয়ার মধ্যে পড়ে না।

বর্তমানে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে নেতিবাচক কথা বলে এ বাজারকে প্রভাবিত না করার আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাজার মূলধন আগের চেয়ে বেড়েছে। তা দেখে বুঝা যায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আছে। তবে বাজারে ট্রেডার কমে গেছে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ হচ্ছে।

সম্প্রতি কয়েকটি বড় কোম্পানির নির্বাহীরা অভিযোগ করেছেন, বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর উচিত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই জটিলতাগুলো খুঁজে বের করা। পরবর্তীতে সেগুলো আরো সহজ করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সুপারিশ করা উচিত।

ডিএসইর পরিচালক ড. এম কায়কোবাদ বলেন, নাসডাকের নিকট থেকে আমরা ডিএসইর সফটওয়ার নিয়েছি। পৃথিবীর বড় বড় শেয়ারমার্কেট তাদের সফটওয়ার ব্যবহার করছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে যেসব সমস্যায় পড়ছি তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। শিগগিরই আমরা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করব।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে পরিচালক রুহুল আমিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, খাজা গোলাম রসুল, শরীফ আতাউর রহমান, ডিএসইর উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান ছাড়াও ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

  1. অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
  2. স্কয়ারফার্মা
  3. আইটিসি
  4. বিডি থাই
  5. আল-আরাফাহ ব্যাংক
  6. অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
  7. এমারেল্ড অয়েল
  8. ঢাকা ডায়িং
  9. বেক্সিমকো ফার্মা
  10. প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস।

শেয়ারবাজারে শেষ দিনে লেনদেনের পতন

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস আজ বৃহস্পতিবারও পতনেই শেষ হয়েছে লেনদেন। তবে পুরো সপ্তাহের মাত্র একদিন লেনদেন হয়েছিল মিশ্র ধারায়। আর পুরো সপ্তাহের মতো মিশ্র ধারায় লেনদেনের দিনও প্রধান সূচক পতনেই ছিল।

অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। ডিএসই ও সিএসই ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ২৪ জানুয়ারি রোববার ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬২৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। মিশ্র ধারায় লেনদেনের দিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি সোমবার ৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬২০ পয়েন্টে অবস্থান করে। ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬১০ পয়েন্টে নামে।

২৭ জানুয়ারি প্রধান মূল্য সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারও সেই ধারা বজায় রেখে ডিএসইর প্রধান সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০৫ কোটি টাকার।যা গতকালের তুলনায় ৪৬ কোটি টাকা বেশি লেনদেন। আগের দিন এই বাজারে লেনৈদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি টাকা।

এই দিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই দিন প্রধান সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১০২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে।

টাকার পরিমাণে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ারফার্মা, আইটিসি, বিডি থাই, আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এমারেল্ড অয়েল, ঢাকা ডায়িং, বেক্সিমকো ফার্মা এবং প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি টাকার শেয়ার। এইদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১৮ পয়েন্ট কমেছে। এই সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১০২ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয়েছে ২৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ইপিএস ৩.৪৮ টাকা

megnaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। এবছর এ আয় হয়েছে ৩.৪৮ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির চলতি বছরের এ প্রান্তিকের (অক্টোবর১৫ থেকে ডিসেম্বর’১৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কেম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য এসেছে ৮২.৯০ টাকা এবং যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৪.৫১ টাকা।

আগের বছর একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪.০১ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ন্যাশনাল পলিমারের ইপিএস কমেছে

national-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। এবছর এ আয় হয়েছে ৭৭ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির চলতি বছরের এ প্রান্তিকের (অক্টোবর১৫ থেকে ডিসেম্বর’১৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কেম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য এসেছে ৫৬.১৭ টাকা এবং যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩২.১৪ টাকা।

আগের বছর একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮১ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

রতনপুর স্টিলের ইপিএস ৫৬ পয়সা

RSRMস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রতনপুর স্টিল মিলস লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির চলতি বছরের এ প্রান্তিকের (অক্টোবর১৫ থেকে ডিসেম্বর’১৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কেম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য এসেছে ৩৯.৩০ টাকা এবং যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫.৬৩ টাকা।

আগের বছর একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৫ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতংক

suridনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত বছর ভালো লভ্যাংশ দিলেও এবছর নো ডেভিডেন্ট ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে কোম্পানিটি লোকসান করেছে। এছাড়া সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কারখানার মেশিন বিক্রি করে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি একটি আতংক রূপ ধারণ করেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকা বেশি দামের মেশিন বিক্রি করেছে। যা আগামী ইজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিবে।

সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদ গত ২০১৫ সালের জন্য কোনাে লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এবছর কোম্পানিটি লোকসান করেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটি এবছর ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লোকসান করেছে। শেয়ার প্রতি লোকসানের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩ পয়সা।

লভ্যাংশ ও মেশিন বিক্রির অনুমোদন নিতে তারা আগামী ১৯ মার্চ এজিএম ও ইজিএম আহবান করেছে। বিনিয়োগকানীদের অনুমোদন স্বাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সুহৃদ ইন্ড্রাস্ট্রিজ ৩০ জুন ২০১৪ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ফলে কোম্পানিটিকে এন থেকে এ ক্যাটাগরিতে আনার সিদ্ধান্ত নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। কিন্তু যে এজিএমে এই লভ্যাংশ অনুমোদন পেয়েছে, তা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

পরে ডিএসইতে জানানো হয় যে, ভালো লভ্যাংশ দিয়েও আইনি জটিলতার জন্য সুহৃদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। পরে কোর্টের নির্দেশে এন থেকে এ ক্যাটাগিরতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।

কিন্তু আবারো কম্পানিটিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে জেড করা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি হতে জেড ক্যাটাগরিকে সুহূদের লেনদেন হবে বলে জানায় ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ