সর্বোচ্চ করদাতার তালিকায় প্রথম গ্রামীণফোন

grameenস্টকমার্কেট ডেস্ক :

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কর দিয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড। সংখ্যার বিচারে শীর্ষ করদাতাদের তালিকায় প্রাধান্য রয়েছে ব্যাংকিং খাতের। চলতি অর্থবছরে জমা দেওয়া আয়কর বিবরণী অনুযায়ী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর পরিশোধ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ কর দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরের আট মাসের আয়কর বিবরণীর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ করদাতা ৫০ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তালিকায় ৩৯টি কোম্পানিই ব্যাংকিং খাতের।

আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি কর দিয়েছে গ্রামীণফোন। এ সময় সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ৬৪৮ কোটি টাকা। সাত বছরের বেশি সময় ধরে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোনই সর্বোচ্চ কর দিয়ে আসছে।

করদাতার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কর পরিশোধ করেছে ৩১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে ৮৬২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এ ব্যাংক।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ। বিদেশি ব্যাংকটি আলোচ্য সময়ে সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের ৬৫৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এর পর ২০০ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে চতুর্থ স্থানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। পঞ্চম স্থানে আরেক বিদেশি ব্যাংক এইচএসবিসি। এ ব্যাংকটি ১৫৯ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেছে। ষষ্ঠ অবস্থানে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি চলতি অর্থবছরে ১৩১ কোটি টাকা কর দিয়েছে। সপ্তম স্থানে রয়েছে বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক। তারা পরিশোধ করেছে ১১৬ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। এ সময় তারা কর পরিশোধ করেছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। নবম অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটি কর দিয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে দশম অবস্থানে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসময় প্রধান সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৫টি কোম্পানির শেয়ার।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার।

সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪.৩৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১.৯০ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২.৯৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে .৭৮ শতাংশ।

মোট ৫ কার্যদিবসে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ বা ১১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ০৭ শতাংশ বা দশমিক ৮০ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৪ শতাংশ বা ২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে বিদেশিদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ

dolerনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিগত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরই বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের মন্দার সুযোগে গত বছরে বিদেশি বিনিয়োগ বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, বিগত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৪ টাকা। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে ২০১৪ সালে আর সবচেয়ে কম বিনিয়োগ হয়েছে ২০১১ সালে। আর এই সময়ে সর্বমোট টার্নওভার হয়েছে ২১ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪ হাজার ৪৬১ টাকা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কিনেছেন ১ হাজার ২১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৪২ টাকা। আর বিক্রি করেছেন ১ হাজার ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৩ টাকা। আর এসব ক্রয় বিক্রয়ের ফলে ওইবছর মোট টার্নওভার হয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮০৫ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। বছর শেষে নেট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৮০ টাকা।

আর ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে নেট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ৭৯২ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ টাকা। ওই সময়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনেছেন ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। আর বিক্রয় করেছেন ৫৫৫ কোটি ৮০ লাখ ২২ হাজার ৩৮০ টাকা। নেট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৮০ টাকা। ওই বছর মোট টার্নওভার হয়েছে ১ হাজার ৯৪ কোটি ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ টাকা।

এ ছাড়া ২০১৩ সালে নেট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৯৪২ কোটি ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৫ টাকা। ওই সময়ে বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন ২ হাজার ৬৫২ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩০ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। আর বিক্রি করেছেন ৭৯ কোটি ৬১ লাখ ৯১৫ টাকা। আর এসব ক্রয় বিক্রয়ের ফলে মোট টার্নওভার হয়েছে ৩ হাজার ৩৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৬ টাকা।

২০১৪ সালে নেট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার ৬১৯ কোটি ৭৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৫০ টাকা। উল্লেখিত সময়ে বিদেশিরা ক্রয় করেছেন ৪ হাজার ৬১০ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ৩১৭ টাকা সমমূল্যের শেয়ার। আর বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৬৭ টাকা। ওই বছর মোট টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬০০ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার ২ হাজার ৪৮৪ টাকা।

আর সর্বশেষ ২০১৫ সালের শেষে নেট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৫ কোটি ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৬ টাকা। গত বছর বিদেশিরা ক্রয় করেছেন ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ১৩৪ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। আর বিক্রয় করেছেন ৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৯ টাকার শেয়ার। আর এই সময়ে মোট টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮ হাজার ৩১৩ টাকার শেয়ার। সবমিলিয়ে বিগত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে নেট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৮৫৪ টাকা। আর এই সময়ে সর্বমোট টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪ হাজার ৪৬১ টাকায়।

জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী এ বিষয়ে বলেন, শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায়ও ধারাবাহিক বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি শুভ ইঙ্গিত বহন করে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ইতোমধ্যে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ