একদিনে বিশ্ব শেয়ারবাজার মূলধন কমেছে ২ ট্রিলিয়ন ডলার

HONG KONG-Britain-EU-voteস্টকমার্কেট ডেস্ক :

উরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের মানুষ। ৩০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হার। ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’ হিসেবে সুপরিচিত কিছু বন্ড ও স্বর্ণ ছাড়া অস্বাভাবিক বিক্রয়চাপের শিকার হয়েছে বিশ্বের সব প্রান্তের আর্থিক বাজারের সব ধরনের সিকিউরিটিজ। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে একদিনের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমে গেছে ২ ট্রিলিয়ন ডলার। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

শুক্রবার সকালে ভোটের ফলাফল জানার পর থেকেই ইউরোপের অন্যান্য অংশের মতো লন্ডনের শেয়ারবাজারেও দরপতন শুরু হয়। মূল ধাক্কাটা গেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যাংকগুলোর শেয়ারে। লেনদেনের শুরুতেই প্রায় ৩০ শতাংশ দর হারিয়েছে বার্কলেস, আরবিএস ও লয়েডসের মতো ব্যাংকগুলো। ৫ থেকে ১০ শতাংশ দরপতনে কেনাবেচা শুরু হয় ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ সব শেয়ারবাজারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা কিছুটা কমে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক এফটিএসইর পতন ৪ শতাংশে সীমিত হয়ে এলেও ৭-৮ শতাংশ হারে কমে প্যারিস ও ফ্রাংকফুর্টের সূচক। দুপুর পর্যন্ত ইউরোপের সমন্বিত শেয়ারসূচক স্টক্স ইউরোপ-৬০০ প্রায় ৭ শতাংশ হ্রাস পায়।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, দিনের লেনদেন শুরু হলে ওয়াল স্ট্রিটের গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো কমবেশি ৪ শতাংশ কমে যাবে। দুপুরের আগে ইউরোপের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর সম্মিলিত বাজার মূলধন অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লেনদেন শুরুর আগেই ২ ট্রিলিয়ন ডলার খুইয়েছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার।

ইউরোপের অস্থিতিশীল অবস্থার ধাক্কা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলেও লেগেছে। যুক্তরাজ্যের গণভোটকে কেন্দ্র করে এক মাসের বেশি সময় ধরেই টানাপড়েনে ছিল বাজার। গতকাল চীন, হংকং, ভারত, অস্ট্রেলিয়ায় শেয়ারসূচক ১ থেকে ৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে দিলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রভাবিত হবে, লন্ডনের পাশাপাশি ফ্রাংকফুর্ট, প্যারিস ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারবাজারগুলোয় যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করলে মূল দুঃশ্চিন্তাটি ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে কেন্দ্র করে তীব্রতর হচ্ছে।

ডলারের বিপরীতে সকালে প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৯৮৫ সালের পর সর্বনিম্নে নেমে যায় ব্রিটিশ পাউন্ডের মান। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পর দুপুরে তা কিছুটা বাড়তে থাকলেও পাউন্ডের দরপতন ৮ শতাংশের আশপাশেই ছিল। চলমান ডামাডোল থেকে বাজার ও অর্থনীতিকে সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনে নতুন প্রণোদনার আশ্বাস দিচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য অংশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্রেক্সিট ইস্যুর ধাক্কায় পড়বে বাংলাদেশের পোশাক খাত

(JPEG Image, 290 × 174 pixels)নিজস্ব প্রতিবেদক :

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্তের সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে এটি বড় ধাক্কা। এই ধাক্কা আসবে বাংলাদেশেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার পর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন করে বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে নতুন করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়তে পারে, মন্তব্য জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকাস্থ প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে তাত্ক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের রেমিটেন্সে বিরূপ প্রভাব পড়বে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স কমে গেলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে বড় অঙ্কের রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু পাউন্ড যেভাবে দর হারাচ্ছে তাতে রেমিটেন্সে বড় ধাক্কা আসছে। তাছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতিতে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টির ফলে সেদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো কমে যেতে পারে। শুধু ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নয়, অভিবাসনের ক্ষেত্রেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

গনমাধ্যমকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা হচ্ছে তৈরি পোশাকের রফতানি বাজার। ইইউতে শুল্কমুক্ত সুবিধা এখন আর যুক্তরাজ্য দিতে বাধ্য নয়। গণভোট হলেও সম্পূর্ণরূপে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসতে আড়াই থেকে তিন বছর সময় পাওয়া যাবে। বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো আমাদের রফতানির বড় বাজার হলো ইউরোপ।

ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে অন্যান্য দেশও ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে রফতানির নতুন বাজার সন্ধান করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। বর্তমানে পর্তুগাল, স্পেন, ইতালির অর্থনীতি দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে হলে আমাদের কূটনৈতিক তত্পরতা জোরদার করতে হবে। অনিশ্চয়তা বিনিয়োগের বড় শত্রু। অনিশ্চয়তা আরো বাড়লে বিশ্বে বিনিয়োগও কমে যেতে পারে। সবমিলিয়ে বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। কেননা গণভোটের ফল প্রকাশের দিনই দেশটির মুদ্রা পাউন্ডের দর কমে গেছে । এটি অব্যাহত থাকলে তাদের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দেশটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। তবে তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের ফলে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে – তা নিশ্চিত হতে হলে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বড় গন্তব্যের দেশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য হতে ৩২০ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রফতানি আয় হয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পরেই বাংলাদেশের বড় রফতানি আয়ের দেশ হলো ব্রিটেন। সবচেয়ে বেশি রফতানি হচ্ছে তৈরি পোশাক। এছাড়া হিমায়িত পণ্যের বড় বাজার হলো যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের পরেই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরেই আসে যুক্তরাজ্য থেকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৮১ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ।

রয়টার্সের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি দিয়েছে এ গণভোট। এ অবস্থায় নীতিনির্ধারকরা কী করবেন তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন। ব্রিটেন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখতেও বাংলাদেশকে আলোচনা করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের অর্থনীতিকে মূল্য দিতে হবে। এখন দেখতে হবে এই মূল্য দিতে তারা কতটা প্রস্তুত। তবে ব্রিটেনের অর্থনীতি যে রকম শক্তিশালী তাতে পাউন্ডের এই দর পতন সাময়িক। কেননা, মুদ্রামান সবসময় সেই দেশটির অর্থনীতির কিছু শক্ত ভিতের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ বেশিরভাগ লেনদেন করে ডলারে। তাই পাউন্ডের দর পতনের ফলে আমাদের খুব একটা সমস্যা হবার কথা নয়। তাছাড়া আমাদের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভে সিংহভাগ রয়েছে ডলারে। এরপর ইউরো এবং পাউন্ড। সম্প্রতি আমরা চীনা মুদ্রা রেনমিনবিও রিজার্ভ হিসেবে রাখছি। পাউন্ডের দর পতনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি রিজার্ভে বড় প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

অবসায়নকৃত মিউচুয়াল ফান্ডে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা

mutualনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পুরো অর্থ ফেরত দেওয়া নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে রশি টানাটানি চলছে। এ কারণে মোট ৩৩৬ কোটি টাকার এইমস প্রথম ও গ্রামীণ ওয়ান স্কিম-১ মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়ন হলেও বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এখনও প্রায় ৩১ কোটি টাকা ফেরত পাননি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।

এনবিআরের দাবি, অবসায়নের পর এ দুটি ফান্ডের সম্পদ মূল্যের পুরোটাই ‘লভ্যাংশ আয়’, যা থেকে উৎসে কর আদায় করতে হবে। তবে বিএসইসি এর বিপরীত ব্যাখ্যা দেওয়ায় ফান্ড দুটির ট্রাস্টি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ও বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করেনি।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, এর আগে বিএসআরএস প্রথম নামের একটি মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়িত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এনবিআর কর আদায় করেনি। এবার নিয়মবহির্ভূতভাবে কর দাবি করা হচ্ছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো ফান্ডের সম্পদ মূল্য লভ্যাংশ আয় নয়। তাই উৎসে কর কাটার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার সনজিত কুমার বিশ্বাস সমকালকে জানান, বিএসইসির আপত্তির বিষয়টি এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই এর সুরাহা হবে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ জানান, কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড এক নয়। অবসায়িত ফান্ড থেকে প্রাপ্য অর্থকে লভ্যাংশ হিসেবে গণ্য করতে এনবিআরের দুই কর অফিসের নির্দেশনার মধ্যে অস্পষ্টতা আছে। এ ছাড়া বিএসইসির যুক্তিগুলো আমলেও নেওয়ার মতো। তাই এনবিআরের কর দাবি আরও বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একটি মহল বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার তথা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট শাখাকে ভুল বুঝিয়ে কর আদায়ের চিঠি ইস্যু করিয়েছে।

এর আগে ফান্ড দুটির সম্পদ ব্যবস্থাপক এইমস বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএসইসির এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি অবসায়িত ফান্ডগুলোর যাবতীয় সম্পদ ট্রাস্টির কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এ সম্পদের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা ব্যক্তি শুধু বিনিয়োগকারীদের অর্থপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

সম্প্রতি এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ও কর কমিশনার অফিস-কোম্পানি সার্কেল থেকে পৃথক দুটি চিঠিতে অবসায়িত দুই মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থকে লভ্যাংশ আয় হিসেবে গণ্য করে উৎসে কর কর্তনের জন্য ট্রাস্টিদ্বয়কে নির্দেশ দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ফান্ড দুটির ট্রাস্টি যথাক্রমে বিজিআইসি ও গ্রামীণ ফান্ড নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা চায়। এ অবস্থায় এনবিআরের দাবি করা টাকা কর্তন করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তা কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়ার আগ পর্যন্ত এনবিআরের কাছে হস্তান্তর না করারও নির্দেশনা দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ডিএসইতে পিই রেশিও কমে ১৪.৩২ পয়েন্ট

PEনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেনের মধ্যে দুদিন সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাকি তিনদিন দরপতন হয়েছে। আর বাজার নেতিবাচক থাকায় সব ধরণের মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। এতে পিই রেশিও কমে গেছে।

সূত্র মতে, বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে যার অবস্থান ছিল ১৪ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট। সে হিসেবে আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই অবস্থান, সপ্তাহশেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২২ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১৯ দশমিক ৯০ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৬ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১২ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৮ পয়েন্টে, পাট খাতের ১৮৪ দশমিক ৬১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২২ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের দশমিক ১৭৫ দশমিক ২৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৯ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৩০ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৫ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১১ দশমিক ৩২ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সপ্তাহের ব্যবধানে ১১শ’ কোটি টাকার মূলধন উধাও

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়রবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৮২৯ কোটি টাকা আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ২৯৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১১শ’ কোটি টাকার বেশি মূলধন বাজার থেকে চলে গেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। ডিএসই ও সিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ জুন) লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার ৪২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকায় এবং শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৫৯৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং শরীয়া সূচক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্ট এবং ডিএস৩০ সূচক ১৪ কমে ১ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক কমেছে দশমিক ৫১ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৫ শতাংশ, সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স কমেছে দশমিক ৫২ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শরীয়াহ সিএসআই সূচক কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ।

সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্রিটিশ টোবাকোর ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

batbcনিজস্ব প্রতিবেদক :

ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির (বিএটিসি) পরিচালনা পর্ষদে সরকারের সচিব পর্যায়ের একাধিক প্রতিনিধি থাকার পরেও ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন সরকারি দলের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা থাকা উচিত নয়।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সরকারি দলের এ সাংসদ বলেন, স্তরভিত্তিক কর বিন্যাসের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দেয়। এ রকম একটা ঘটনা এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) উদ্ঘাটন করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিসি) কোম্পানিকে চিঠি দেয়। তারা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। বিএটি বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলেও সেখানে রাজস্ব ফাঁকির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই কোম্পানিতে বাংলাদেশ সরকারের ১৩ ভাগ শেয়ার রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে সরকারের চারজন সচিব
পর্যায়ের পরিচালক আছে। তাঁরা আবার নিরীক্ষাও করেন। এরপরও তারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের যেসব পরিচালক আছে, তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। অন্যথায় পুরো বিষয়ের সঙ্গে আমাদের জড়িয়ে ফেলা হবে।’

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিল্পসচিব, কৃষিসচিব, শ্রম ও
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং এই কোম্পানির সরকারনিযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিরীক্ষা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম