চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারি বিচার কার্যক্রম আবারো স্থগিত

courtনিজস্ব প্রতিবেদক :

চিটাগাং সিমেন্টের (বর্তমান হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর আরো চার মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছেন উচ্চ আদালত। এর আগে মামলাটির বিচার কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এ মামলার অন্যতম আসামি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এবং বুলবুল সিকিউরিটিজের এমডি শহিদুল হক বুলবুল।

মামলার সাক্ষী কোম্পানির সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার জেরা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান। আসামি রকিবুর রহমান ও বুলবুলের পক্ষে জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোহসেন রশিদ এবং টিকে গ্রুপের আবু তৈয়বের পক্ষে জেরা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এ এস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। এটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ১৭ ধারা অনুসারে অনিয়ম।

এ কারসাজি তদন্তের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের ৪ মে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করে বিএসইসি।

মামলাটি পরবর্তীকালে বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত ঢাকায় বদলি করা হয়। এই আদালতে থাকাকালে মামলাটির বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। পরবর্তীকালে মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ এলে বাদীপক্ষের সম্মতিতে নিম্ন আদালতের আদেশের ওপর স্থগিত আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর বিএসইসির ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মামলাটি এই আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম