নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাধারণ বীমা খাতের মুনাফায় মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। এ খাতের ৩৪ কোম্পানির মধ্যে ১৮টির নিট মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪টির। বাকি দুই কোম্পানির ইপিএস অপরিবর্তিত থেকেছে। তবে কেবল দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০ বীমা কোম্পানির নিট মুনাফা ও ইপিএস বেড়েছে, কমেছে ১৪টির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বছরের প্রথম ছয় মাসে তালিকাভুক্ত ৩৪ সাধারণ বীমা কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সোয়া চার কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা হয়েছে ৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা বা ৭ শতাংশ বেশি।
প্রথম ছয় মাসে যেসব কোম্পানির নিট মুনাফা ও ইপিএস বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে সেগুলো হলো প্রভাতী, রিপাবলিক, এশিয়া, পূরবী জেনারেল ও ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স। এসব কোম্পানির নিট মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া সেন্ট্রাল, গ্রিনডেল্টা ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের মুনাফা ১২ থেকে প্রায় ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দেড় থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা বেড়েছে প্রিমিয়ার, পাইওনিয়ার, সোনার বাংলা, সিটি জেনারেল, প্রগতি, নর্দার্ন, ইউনাইটেড, অগ্রণী, রূপালী ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের।
সর্বাধিক ৪৫ শতাংশ মুনাফা কমেছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের। গত জুন শেষে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয় প্রায় ৪ কোটি টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফা কমেছে ৪২ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের কমেছে ৩০ শতাংশ। ১৭ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা কমেছে নিটল, গ্গ্নোবাল, ফিনিক্স, বাংলাদেশ জেনারেল এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির।
এ ছাড়া মুনাফা কমেছে জনতা, এশিয়া প্যাসিফিক, পিপলস, তাকাফুল, কর্ণফুলী ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের। ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে মার্কেন্টাইল ও প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের।
এদিকে প্রথম ছয় মাসে নিট মুনাফা বাড়লেও শেষের তিন মাসে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস প্রায় ২১ শতাংশ কমে ৭২ পয়সায় নেমেছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের ইপিএস ছিল ৯১ পয়সা। এ ছাড়া সামান্য ইপিএস কমেছে সেন্ট্রাল, সোনার বাংলা, প্রগতি, ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিটল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস অর্জিত হয়েছিল ৪৪ পয়সা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ পয়সায়। অথচ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের সমন্বিত ইপিএস গত বছরের তুলনায় ৪১ পয়সা কমে ১ টাকা ১১ পয়সায় নেমেছে।
সার্বিক হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সব সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ ইপিএস রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বীমা কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয় পৌনে ১৮ কোটি টাকা। এতে কোম্পানিটির ইপিএস ২৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৫ পয়সায়। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অর্জিত হয় ১ টাকা ৩৩ পয়সা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এ