ডিএসই’র পিই রেশিও বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ

PEস্টকমার্কেট ডেস্ক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক (৪-৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ বা ০.১৩ পয়েন্ট। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ডিএসই’র পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৮৬ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৪.৭৩ পয়েন্ট।

বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ৭.৪৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৬০৪, সিরামিকস খাত ২৩.১৩, প্রকৌশল খাতে ১৪.৯৪, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯.০৪, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২৩.৩৯, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩.৫৭, বীমা খাতে ১৪.৬৭, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২৮.২৪, পাট খাতে ২৩৯.৬৫, বিবিধ খাতে ২৩.৩২, পেপার ও প্রকাশনা খাতে ১৯৯.৭৪, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২০.৭৭, সেবা ও আবাসন খাতে ২১.০২, চামড়া খাতে ২৬.৩০, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৭.৫২, বস্ত্র খাতে ১১.১০ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৪.৯৭ পয়েন্টে রয়েছে।

উল্লেখ্য, খাতভিত্তিক পিই হিসাব করা হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরি, ওটিসি শেয়ার এবং যে সব শেয়ার দীর্ঘদিন লেনদেন হয় না সেগুলোর হিসাব বাদ দিয়ে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

h indexস্টকমার্কেট ডেস্ক :

সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক বেড়েছে। ডিএসইএক্স মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন ও আর্থিক লেনদেন। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শেষ সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫২.০৪ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬০১.০৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.০৪৫ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ সময় ডিএসইতে ২ হাজার ৩৬১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ২২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ হিসাবে ৬.১৯ শতাংশ আর্থিক লেনদেন বেড়েছে।

মোট লেনদেনের ৮৯.১৯ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৬৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৮.৬০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৫২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইতে ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৫৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে লাফার্জ সুরমা ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

উত্তর কোরিয়ার বিস্ফোরণে আতঙ্কে বিশ্ব শেয়ারবাজার

jpeg-image-318-x-159-pixelsস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বিশ্বের নিকট নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে পঞ্চম বার শক্তিশালী পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাল উত্তর কোরিয়া। আর, শুক্রবার তার জেরে কেঁপে উঠল এশিয়ার শেয়ারবাজার, যার প্রভাব এড়াতে পারেনি ভারত। এই বিস্ফোরণ টলিয়ে দিয়েছে ইউরোপের বাজারকেও। খোলার পরে পড়েছে মার্কিন শেয়ারবাজারও।

তাদের এ বারের পরমাণু বিস্ফোরণ ক্ষমতায় হিরোশিমার চেয়ে কম নয়, উত্তর কোরিয়ার এই দাবিই বিপদ সঙ্কেত পাঠায় বাজারে। এর জেরে আমেরিকা ও চিনের প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই পড়তে থাকে শেয়ারবাজারের সূচক।

সকালে বিস্ফোরণ ঘটায় প্রথমেই প্রভাব পড়ে এশীয় বাজারে। হংকং ও জাপান বাদে পড়ে সব শেয়ারবাজার। প্রসঙ্গত, সময়ের দিক থেকে উত্তর কোরিয়া ভারতের চেয়ে তিন ঘণ্টা এগিয়ে। এ দিন আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির জেরে সেনসেক্সও ২৪৮ পয়েন্ট পড়ে নামে ২৮,৭৯৭.২৫ অঙ্কে। বৃহস্পতিবার তা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছিল।

তবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা ছাড়াও এ দিন ভারতের বাজারে প্রভাব ফেলেছে মার্কিন শীর্ষ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের নতুন করে সুদ বাড়ানোর ইঙ্গিত। পাশাপাশি, সোমবার শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিসংখ্যান় প্রকাশিত হওয়ার কথা। তার আগে শুক্রবার শেয়ারবাজার ছিল কিছুটা সাবধানী।

সূত্র : রয়টার্স

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিএসইসির নতুন নির্দেশনা : আয়-ব্যয়ের হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে হবে

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। এখন থেকে এসব প্রতিবেদনে কোনো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, মুনাফা ও অন্যান্য উপাত্তে পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিক হ্রাস-বৃদ্ধি হলে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিএসইসির এক নোটিফিকেশনে সম্প্রতি এ বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

কমিশন চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর জোর দেয়ার পাশাপাশি বাজারের স্থিতিশীলতার ওপর মূল্যসংবেদনশীল তথ্যের প্রভাব নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বরের ওই নোটিফিকেশনে বিএসইসি মোট চারটি নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি ২০০৯ ও ২০১০ সালের এ-সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা বাতিল করেছে।

প্রথমত, তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিজের ইস্যুয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন চলার সময়ে এমন কোনো পর্ষদ সভা করতে পারবে না, যেখান থেকে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য আসতে পারে। এ ধরনের পর্ষদ সভাগুলো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধের পর কিংবা ছুটির দিনে আয়োজন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জীবন বীমা কোম্পানি ছাড়া অন্য সব সিকিউরিটিজের ইস্যুয়ারকে প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে, তা নিরীক্ষিতই হোক আর অনিরীক্ষিতই হোক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ এক মাস সময় পাবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসির কাছে এ প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি কমপক্ষে দুটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে (একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি) তা প্রকাশ করতে হবে। এদিকে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদনের জন্য ৯০ দিন এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের জন্য এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। তাদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একই পদ্ধতিতে প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।

শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস), শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহসহ (এনওসিএফপিএস) অন্যান্য উপাত্ত প্রকাশের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে তুলনামূলক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

তৃতীয়ত, আর্থিক প্রতিবেদনের কোনো উপাদানে পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে অস্বাভাবিক ব্যবধান থাকলে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে ইস্যুয়ারকে।

চতুর্থত, ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এছাড়া সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের নিচের দিকে ওয়েব সাইটে আর্থিক প্রতিবেদনের লিংক মোটা অক্ষরে উল্লেখ করতে হবে।

নোটিফিকেশনে আরো বলা হয়, বিএসইসির ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জারি করা নির্দেশনা এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৮-১৮৩ এবং ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারির এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/০৯ নতুন নির্দেশনাটির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।

প্রসঙ্গত, পূর্ববর্তী নির্দেশনাগুলোর পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানির প্রান্তিক উপাত্ত প্রকাশের নিয়ম চালু হয়। তবে আয়, ব্যয় বা মুনাফা আগের বছরের একই সময় বা পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় অস্বাভাবিক হারে কমলে বা বাড়লে এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে হতো না ইসু্যুয়ারকে। অনিরীক্ষিত ফলাফলের উত্থান-পতনে শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়ে অন্ধকারেই থাকতেন।

নতুন নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি কোম্পানির কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম