কেয়ার শেয়ার বিক্রি করবে কেয়া ইয়ার্ন

keyaস্টকমার্কেট ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের একটি কর্পোরেট স্পন্সর শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড নামে কোম্পানিটির এই পরিচালক ২২ লাখ শেয়ার বিক্রয় করবেন। প্রতিষ্ঠানটির হাতে কসমেটিকসের মোট ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৯ টি শেয়ার রয়েছে।

এই উদ্যোক্তা এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে পাবলিক ও ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করবেন।

এই ঘোষণার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর

বিডি ফাইন্যান্সের বোর্ড সভা ৩০ অক্টোবর

bd finance-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি বিডি ফাইন্যান্স লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া চলতি ২০১৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৪ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে এই বোর্ড সভা করবে কোম্পানিটি।

বোর্ড সভায় কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

মালেক স্পিনিং ও রহিম টেক্সটাইলের বোর্ড সভা

boardস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পোশাক শিল্প খাতের কোম্পানি মালেক স্পিনিং ও রহিম টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া চলতি ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ২.৪৫ ও ৩.৪৫ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে এই বোর্ড সভা করবে কোম্পানিগুলো।

বোর্ড সভায় কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

কাসেম ড্রাইসেলের বোর্ড সভা ১ নভেম্বর

qasem 1স্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ড্রাইসেল লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া চলতি ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে এই বোর্ড সভা করবে কোম্পানিটি।

বোর্ড সভায় কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ঝিল বাংলা ও শ্যামপুর সুগার মিলের নো ডেভিডেন্ট

no-dividenedস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চিনি শিল্প খাতের কোম্পানি ঝিল বাংলা সুগার মিলস ও শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য নো ডেভিডেন্ট বা কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। বুধবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থ বছরে কোম্পানির আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনাপ করে এই সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কোম্পানিগুলোর এজিএমের ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

এইচআর টেক্সটাইলের ১০% লভ্যাংশ ঘোষণা

hr texস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পোশাক শিল্প খাতের কোম্পানি এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড ৯ মাসের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বুধবার কোম্পানির বোর্ড সভায় এ লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থ বছরে ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৩ পয়সা।

আগামী ২৩ জানুয়ারি কোম্পানিটির এজিএমের ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর রেকর্ড ২৭ নভেম্বর করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৫৩১ কোটি টাকার মূলধনী কোম্পানির লভ্যাংশ ৫ শতাংশ

beacon-logo-finalনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিকন ফার্মাসিটিক্যালের মূলধনের পরিমাণ ৫৩১ কোটি টাকা। এই বৃহৎ মূলধনী কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেটাও দীর্ঘ ৪ বছর অপেক্ষার পর। কোম্পানির লভ্যাংশ নিয়মিত না দেওয়ার কারণ বা মাত্র ৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়াকে অস্বস্তিকর বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী।

তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, ২০১১ সালে ৫ তাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এরপর ২০১২-২০১৩-২০১৪ সর্বশেষ ২০১৫ সালে কোনো ধরণের লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের আবারো ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানি।

চার বছর আগে সামান্য লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এরপর ব্যবসা ভালো করলেও শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরণের লভ্যাংশ দিচ্ছে কেন এটা বোধগম্য নয়- এমনভাবে বলছিলেন রফিকুল ইসলাম নাম এক বিনিয়োগকারী।

একাধিক বিনিয়োগকারীর মতে, একটি ভালো কোম্পানি ব্যবসা খারাপ হতেই পারে, তাই বলে প্রতি বছরই খারাপ হবে কেন। বিকন ফার্মার ব্যবসা খারাপ না বলে মন্তব্য করেন তারা। কোম্পানি উৎপাদিত ঔষুধ সারাদেশেই পাওয়া যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটি মোট টার্নওভার ছিল ১৮২ কোটি টাকা, যা একই বছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ১২১ কোটি টাকারও উপরে। ৯ মাসে কোম্পানির হিসাব মতে মুনাফা এসেছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা ৬ মাসে ছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আলোচিত এই বছরটিতে কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে।

কোম্পানিটির হাতে সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরপরও কোম্পানিটির মুনাফা না করতে পারা কিংবা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।

এই কোম্পানির মাত্র ৩০ শতাংশ শেয়ার কোম্পানির হাতে রয়েছে। বাকি প্রায় ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। সিংহভাগ শেয়ারহোল্ডারকে বঞ্চিত করছে অল্প সংখ্যক শেয়ারের মালিক কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

মূলধন বিবেচনায একটি বড় মূলধনী কোম্পানি বিকন ফার্মা। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ কোম্পানিটির অথরাইজড মূলধনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকার উপরে। এত ভালো মৌলভিত্তিক একটি কোম্পানি কেন লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

এপ্রসঙ্গে জানতে কোম্পনি সেক্রেটারি/ এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বিকন ফার্মা দেশের খ্যাত নামা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের একটি কোম্পানি। বিকন ফার্মার মূলধনগুলোকে ওরিয়নের আসন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলে গুজবটি এখন অভিযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই ৪ বছর পর হলেও লভ্যাংশ দিল কোম্পানিটি।

স্টকমার্কেটবিডি./বি/এমএ

অনিয়মে জড়িতদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে

bbনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের ৩৩টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথমার্ধের আর্থিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন নির্দেশক সম্পর্কে আলোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে এনবিএফআইয়ে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ওই সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও ৩৩টি এনবিএফআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লিখিত বক্তব্যে ফজলে কবির বলেন, এনবিএফআই খাতে মাত্রাতিরিক্ত অনিয়ম হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যেকোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর অবস্থানে থাকবে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর ফল ভোগ করতে হবে।’

এনবিএফআই খাতে খেলাপি ঋণ প্রায় ৮ শতাংশ, যা মোটেই সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা বিদ্যমান নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিংয়ে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে পরিচালকদের ব্যক্তিগত ঋণ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ঋণ প্রদানে অনিয়ম, শ্রেণীকৃত ঋণকে অশ্রেণীকৃত ঋণ হিসেবে দেখানোসহ বেশ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু অনিয়মের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। স্প্রেড ৫ শতাংশে সীমিত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এনবিএফআই খাতের বিনিয়োগ সম্পর্কে গভর্নর জানান, শিল্প খাতে এনবিএফআইয়ের বিনিয়োগ ৪৩ শতাংশ, ব্যবসা-বাণিজ্যে ১৮ শতাংশ ও হাউজিংয়ে ১৭ শতাংশ। কিন্তু কৃষিতে ২ শতাংশেরও কম। তাই এ খাতে অবশ্যই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

এর বাইরে ব্যাসেল নীতিমালা অনুযায়ী সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম আবশ্যকীয় মূলধন তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশের ওপর উন্নীত করার কথা বলেন।

বৈঠক শেষে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এসব খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিচালকদের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের শেয়ারের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ নেয়ার বিধান রয়েছে। কেউ যেন তথ্য গোপন করে এর চেয়ে বেশি ঋণ নিতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বেশকিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের কারণে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যেন অনিয়মের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে রেড জোনে বা বেশি ঝুঁকিতে থাকা ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়।

এ সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে ফটকাবাজি না করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করারও নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকের মতো আচরণ না করে বরং ব্যবসায় মনোযোগ দেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান মফিজউদ্দিন সরকার বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর ডিপোজিটের ২ শতাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়টি বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএকে জানানো হবে বলে গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়া বন্ড মার্কেটে পুনরায় কর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে, যদিও এটি এনবিআরের ওপর নির্ভর করে, তবুও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।

তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গুড গভর্ন্যান্স বা সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার বিষয়টি স্বীকার করে মফিজউদ্দিন সরকার বলেন, নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যমান সার্ভিস চার্জ বা প্রসেসিং ফি শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৫ লাখ করার আবেদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশের ব্যাংকিং খাতের লাগামহীন খেলাপি ঋণের হাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও লেগেছে। দেশের ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করেছে ৪৯ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণকৃত ঋণের প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে পরিচালকদের অর্থ আত্মসাত্, ঋণ বিতরণে অনিয়ম, পরিচালনা পর্ষদে দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো— বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স, পিপলস লিজিং ও ফার্স্ট ফিন্যান্স। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালকরা প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বের করে নেয়ার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) ৫৮৫ কোটি, পিপলস লিজিংয়ের প্রায় ৪০০ কোটি ও ফার্স্ট ফিন্যান্সের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়েছে। নিয়ম না মেনে ঋণ বিতরণ করায় এ তিন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে।

এছাড়া জুন পর্যন্ত বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিতরণকৃত ৭৪০ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ৪১৫ কোটি, ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ৮০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে খেলাপি ৭০ কোটি, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে খেলাপি ৫০০ কোটি, উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে খেলাপি ১৭৫ কোটি, বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের বিপরীতে ৯০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণীকৃত করা হয়েছে।