গ্রাহকের অভিযোগটি আমলে নিল এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ

CapitalMarketBanner-145x150নিজস্ব প্রতিবেদক :

এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড গ্রাহকের নগদ বিও হিসাবে সুদ ধার্য করার অভিযোগটি আমলে নিয়েছে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর সাথে সমাঝোতার পক্রিয়া করেত আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকেও (ডিএসই) একটি জবাব পত্রও দিয়েছেন তারা।

মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নামে এই বিনিয়োগকারীর করা অভিযোগের একটি জবাব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকেও (ডিএসই) দিয়েছে এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ। ডিএসইর চীপ রেগুলেটরি অফিসার বরাবর গত ২৪ জানুয়ারি এই লিখিত অভিযোগ দেন গ্রাহক। এরপর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে হাউজেক একটি চিঠি দেয় ডিএসই। এরিপরিপ্রেক্ষিতে এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ ডিএসইকেও একটি জবাব পত্র দিয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি।

ডিএসইকে দেওয়া এ জবাব পত্রের একটি অনুলিপি স্টকমার্কেবডি.কমের নিকট আসে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, উক্ত প্রাহকের সুদবাবদ সমপরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার পক্রিয়া চলছে। আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এ সমস্যা সমাধান আরো আগে হতো। গোলাম মোস্তফা এখনো (১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) তাদেরকে কোনো লিখিত দেন নাই। আমাদের সে একাধিকবার মুখে বললেও তাকে আইনের মধ্যে আনতে পারি নাই। উনি লিখিত দিলে বিষয়টি বোর্ডে আলোচনা করে সমাধান করে দেওয়া হবে।

এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মনজুরুল আলম স্টকমার্কেবিডি.কমকে বলেন, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার অভিযোগের জবাব ডিএসইকে দেওয়া হয়ছে। ঘটনাটি ২০১২ সালের। এর পর উনি দীর্ঘদিন আমাদের সাথে যোযোগ করেন নাই। এজন্য এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি খুব দ্রুত সমাধান করা উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার বিও হিসাব নম্বর ১২০২০৯০০১৭৭৮২০৭৯৫। আর ক্লায়েন্ট কোড নম্বর ০৪১৯৯।

গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজে তার বিও হিসাবে ওভার পারচেজ হয়। এর পর থেকে তার বিও তে সুদ আসতে থাকে। ২ বছর পর ২০১২ সালে ব্যাংকটি তা সমাধান করে দেয় আর বিও হিসাব এভারেজ করতে বলা হয়। ব্যাংকের কথা মতো ১.৬০ লাখ টাকার শেয়ার কিনে এভারেজ করেন বলে জানান এই বিনিয়োগকারী।

দুই বছর পর ২০১৫ সালে শেয়ারের দর কমায় তাকে আবার এভারেজ করতে বলা হয় বলে ডিএসইকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানায় এই বিনিয়োগকারী। ২০১৬ সালে মে মাসে জানতে পারেন তার বিও হিসাবে কোনো শেয়ার নেই। তার শেয়ারগুলো বিক্রি করে দেয় এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/শরীফ