যমুনা অয়েলের এমডি আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুই মামলা

jamuna 1চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানী তেল পরিশোধনাগার প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল লিমিটেডের দুটি উন্নয়ন কাজের প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই মামলায় আসামি হিসেবে আছেন পদ্মা ওয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়ের। তিনি বর্তমানে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

দুটি মামলায় পদ্মা অয়েলের আরও চার কর্মকর্তাসহ পৃথকভাবে আসামি হিসেবে আছেন আরও ছয়জন।

বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) নগরীর সদরঘাট থানায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.সিরাজুল হক বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ০৮ ও ০৯ বলে জানিয়েছেন সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আখতার।

জানা যায়, হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানে জ্বালানি নেয়ার জন্য হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।

২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে হওয়া এই উন্নয়ন কাজ থেকে টাকা আত্মসাতের মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স অয়েল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের এমডি মো.ফাহিম জামান পাঠান, প্রকল্প পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো.আলী হোসেন এবং এমডি আবুল খায়েরকে।

২০১৬ সালে খুলনার দৌলতপুরে পদ্মা অয়েলের একটি ভবন নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে।

আসামিরা হলেন, পদ্মা অয়েলের এমডি আবুল খায়ের, প্রকল্প পরিচালক মো.নূরুল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কে এম আব্দুর রহিম ও প্রকৌশলী সালেকী আহমেদ আইনুল আব্বাসী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোহাম্মদ ইউনূস এন্ড কোম্পানির এমডি আনিসুর রহমান।

উভয় মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা অয়েলের এমডি থাকাকালে আবুল খায়েরসহ অপরাপর আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে কাজ কম করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। গত বছর এই দুটি উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে সত্যতা এবং তথ্যপ্রমাণ পেয়ে দুদকের অনুমোদনপূর্বক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

কন্যাকে শেয়ার প্রদান করলেন ইউনিক হোটেলের স্পন্সর

uniq-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেডের একজন স্পন্সর হাতে থাকা সব শেয়ার তার কন্যাকে হস্তান্তর করেছেন। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

মো. নূর আলী নামে কোম্পানিটির এই স্পন্সর পরিচালক হাতে থাকা ৫৭ হাজার ৯০ হাজার ৯৭৩ টি সব শেয়ার তার কন্যাকে প্রদান করলেন। তার হাতে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৭১৮টি শেয়ার ছিল।

এসব শেয়ার তিনি তার কন্যা নাবিলা আলীকে হস্তান্তর করলেন।

ঘোসণার পরে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর