নতুন কোম্পানিরও তিন বছর কর রেয়াত চায় ডিএসই

dse1নিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কমপক্ষে ২০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট নতুন কোম্পানিকে তিন বছরের শতভাগ কর রেয়াত সুবিধা চেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ (সিএসই)। আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট-কে সামনে রেখে রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিএসই ও সিএসই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করে।

বাজেট প্রস্তাবনায় ডিএসই জানায়, নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বিশেষ সুবিধা দিলে আইপিও’র সংখ্যা বাড়বে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের তিন বছরের জন্য শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এর বাইরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বর্তমান করপোরেট করহার ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা বা তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির সঙ্গে তাদের করহারে শতকরা ২০ পয়েন্ট ব্যবধান নিশ্চিত করা দরকার।

২০১৯ সাল পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জকে শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া রয়েছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর দুই এক্সচেঞ্জকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে পাঁচটি ধাপে পাঁচ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেয় এনবিআর। এর আওতায় প্রথম বছর শতভাগ ও পরবর্তী চার বছর যথাক্রমে ৮০, ৬০, ৪০ ও ২০ শতাংশ হারে কর অবকাশ সুবিধা পায় স্টক এক্সচেঞ্জ। তবে শেয়ারবাজার উন্নয়নের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জের টানা পাঁচ বছর শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা প্রয়োজন।

স্টক এক্সচেঞ্জ বলছে, ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন, ইটিএফ ও ডেরিভেটিভসের মতো প্রডাক্ট চালুর জন্য কাজ করছে তারা। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তিতে আলাদা বাজার গঠন ও ওটিসি মার্কেটের আধুনিকায়ন নিয়েও কাজ হচ্ছে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জের অর্থের প্রয়োজন। তবে করারোপের কারণে পরিচালন ক্ষতি হলে, লেনদেন ফি বাড়ানো ছাড়া ডিএসইর কোনো উপায় থাকবে না বলে জানায় উভয় স্টক একচেঞ্জ।

এছাড়া, কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া, ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় সিকিউরিটিজ
কেনা-বেচায় করহার কমানো, সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শতকরা ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি বাতিল, স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনি মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর কেটে নেয়ার বিষয়টি ব্লক মার্কেটে লেনদেনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শূন্যে নামিয়ে আনা, সাবসিডিয়ারি কোম্পানির লভ্যাংশের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটহার কম রাখা ও ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই ও সিএসই।

ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, বতর্মানে দেশের শেয়ারবাজার উর্ধ্বমুখী রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জকে কর রেয়াত দেওয়া হলে আমরা দীঘমেয়াদে আরো শক্তিশালী হব।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ