গ্রামীণফোনের ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

AGM_20নিজস্ব প্রতিবেদক :

বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের এ এজিএমে গ্রামীণফোন বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফার লাসকা ও সিইও পেটার বি ফারবার্গসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে অপারেটরটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি হোসেন সাদাত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন বোর্ডের চেয়ারম্যান তার ভাষণে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী হিসেবে পরিণত হওয়ার গ্রামীণফোনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে থ্রিজি চালু করার প্রসঙ্গে বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, “গ্রামীণফোন একটি ২০ বছরের সাফল্যের কাহিনী। আমরা প্রায় ছয় কোটি গ্রাহককে সেবা প্রদান এবং যোগাযোগ ও ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষমতায়ন করতে পেরে গর্বিত। গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে ২১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ, সবচেয়ে বেশি কর্পোরেট কর প্রদান করে এবং ৩৩,০০০ সাধারণ বিনিয়োগকারী নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে।”

গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে ৮৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরো ৯০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন। ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ১৭৫ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৭.৫ টাকা)।

শেয়ারহোল্ডারা ২০১৬ সালের জন্য সুপাশিরকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রুততার সাথে অনলাইনে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে।

এজিএম এর অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৬ এর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন বা পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর নিয়োগ।

গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটি ছিল অষ্টম এজিএম।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

এফবিসিসিআই নির্বাচন করবেন রূপালী পর্দার নায়িকা

(JPEG Image, 200 × 159 pixels)নিজস্ব প্রতিবেদক :

রূপালী পর্দা থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ২০১৭-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রার্থী হয়েছেন শমী কায়সার। তিনি ই-কমার্স ভিত্তিক একটি সংগঠন থেকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্য ও ভোটার হয়েছেন। সম্মিলিত গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।

এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বর্তমান কমিটির প্রথম সহসভাপতি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। চেম্বার থেকে ১৮টি ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১৮টি করে প্রার্থী দিয়েছে এই প্যানেল।

আগামী ১৪ মে নির্বাচন হবে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, মীর নাসির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২৩ এপ্রিল এজিএম করতে এনআরবিসি ব্যাংককে হাইকোর্টের নির্দেশ

courtনিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্ধারিত সময়ে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের অবকাশকালীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে আগামী ২৩ এপ্রিল ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

আদেশকালে আদালত বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ফরাছত আলীই এই এজিএমে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এজিএমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক মাসুদ বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদনান ইমাম, এস এম তমাল পারভেজ ও রফিকুল ইসলাম আরজুকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এজিএমে অংশগ্রহণে বাধা না দিতে পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এজিএমে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ এবং কোনও বহিরাগকে সভায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও মেহেদী হাসান চৌধুরী। ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম মনিরুজ্জামান।

গত ১০ এপ্রিল ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টে নাম না থাকায় ও এজিএমে অংশগ্রহণের জন্য কোনও চিঠি না পাওয়ায় আদনান ইমামসহ ব্যাংকের তিন পরিচালক হাইকোর্টে আবেদন করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ে সমাধান বের করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

tofailনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) কোনও ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইপিজেডগুলোতে যারা কারখানা করেছেন তাদের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেখানে কোনও ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হবে না। কাজেই এখানে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাচ্ছে না। কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) চাচ্ছে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন হোক। তাই এ বিষয়ে একটি সমাধান বের করতে হবে, যাতে ইইউর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট না হয়।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস ও জার্মান কনফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল সমারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কথা জানিয়েছে জার্মানের ওই প্রতিনিধি দল। তবে আমি তাদের জানিয়েছি, আমরা ইপিজেডগুলোতে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেছি। এ সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে। তারপরও ইইউ যেহেতু ট্রেড ইউনিয়ন চায়, তাই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। কারণ তারা আমাদের ভালো বন্ধু। বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ৫৫ শতাংশই ইইউ থেকে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ উন্নত হয়েছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের তিন হাজার ৮০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা পেয়েছে মাত্র এক শতাংশের একটু বেশি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানে দুই শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা থাকা গ্রহণযোগ্য।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানার শ্রমিক নেতারা কারখানায় কাজ করেন না, যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যা। শ্রমিকরাও চান যারা কারখানায় কাজ করেন তারাই শ্রমিক নেতা হোক। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য যারা কাজ করেন না তারাই শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ইইউ বারবার তাগাদা দিচ্ছে, সেহেতু আমরা একটি সমাধান বের করার জন্য উদ্যোগ নেবো। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক আছে। সেখানে আমাকে ডাকা হয়েছে। ইপিজেডে কীভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করা যায়, তার ফর্মুলা বের করা যায় কিনা? সে বিষয়ে আমি সেখানে আলোচনা করবো।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ