অর্থপাচার ঠেকাতে জমির মূল্য তুলে দেয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

muhitনিজস্ব প্রতিবেদক :

অর্থপাচার ঠেকাতে দেশের জমির মূল্য তুলে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে কোনো মৌজার রেট (জমির মূল্য) থাকবে না। অর্থপাচার ঠেকাতে এটা একটি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

শনিবার সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইকোনোমিকস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি বিলাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক প্রতিনিধিসহ রিপোর্টাররা এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচারে যেসব কারণ রয়েছে, জমির মূল্য নির্ধারিত থাকা তার একটি অন্যতম কারণ। জমির মূল্য উঠিয়ে দেয়া হলে অর্থপাচার প্রবণতা কমে আসবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্স কমে যাওয়ার বিষয়টি সবার নজরে পড়েছে। রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এটা বাড়াতে প্রবাসী যারা রেমিটেন্স পাঠান এর খরচ যাতে না লাগে সে বিষয়ে সরকার একটা পদক্ষেপ নিচ্ছে- আগামী বাজেটেই এর একটা নির্দেশনা থাকবে।

ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক পারসেন্ট ভ্যাট কমলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাটের হার কী হবে সেটা আগামীকাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত করা হবে।

প্রাক বাজেট এই আলোচনায় এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় রিহ্যাব

rehabb20170513131443নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে আবাসন খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। একেই সঙ্গে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমিয়ে আনা, অপ্রদর্শিত আয়, শর্তহীন বিনিয়োগের সুযোগ এবং নতুন ভ্যাট আইনে এ শিল্পের কাঁচামাল রডের উপর মূল্যসংযোজন কর দেড় শতাংশ করারও দাবি করেছে সংগঠনটি।

শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় বলা হয়, বর্তমানে আবাসন খাতে যথাযথ অর্থ প্রবাহ না থাকা ও নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতের ক্রেতারা কোনো বিনিয়োগে যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে আবাসন খাত আরো সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় আবাসন খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। যা এই খাতে ক্রেতাদের জন্য অনেক ফলপ্রসু ভূমিকা রেখেছিল। অনেকে নিজের কিছু মূলধন নিয়ে প্রায় ভাড়ার টাকায় ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই ঋণ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে এই খাত সংকটের মধ্যে পতিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, রিহ্যাবের পরিচালক জহির আহমেদ এবং রিহ্যাবের কো-চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ।

সংগঠনের নেতারা জানান, সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ৩০ বছরের কিস্তিতে ঋণ দিলে ক্রেতা সাধারণ ভাড়া সমান কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশ বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশনকে তহবিল প্রদানের মাধ্যমে আবাসন খাতে ঋণ বৃদ্ধি করতে পারে। এ অবস্থায় আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ৩০ বছর মেয়াদে দীর্ঘমেয়াদী রি-ফাইন্যান্সিং চালুকরণ জরুরি, যাতে মাসিক কিস্তি বাসা ভাড়ার সমান হয়।

নেতারা জানান, সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন একদিকে যেমন এই শিল্পকে এগিয়ে নেবে, বাজারে অর্থের লেনদেন বাড়বে, অন্যদিকে সরকারও তার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। যে সকল ফ্ল্যাট প্রথম বিক্রয়ের পর ৫ বছরের মধ্যে পুনরায় বিক্রয় হবে, কেবল মাত্র সে সকল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে বিক্রয়ের জন্য সেকেন্ডারি মার্কেট চালু করা আবশ্যক। ৫ বছরের বেশি সময়ের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ করা দরকার। ফলে নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবসা। তার প্রচলন করা জরুরি।

নেতারা বলেন, প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ভ্যাট সরকার পাচ্ছে ফ্যাক্টরি ও পাইকারি বিক্রেতা থেকে। ভবন নির্মাণকালে অধিকাংশ ডেভেলপার সরাসরি নগদ অর্থে বিভিন্ন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ও সেবা ক্রয় করে থাকে। ফলশ্রুতিতে ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না। এছাড়া অনেক নির্মাণ আইটেমের সরবরাহকারী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে না তাই এই সকল ভেন্ডরের কাছ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করা যায় না। ফলে ডেভেলপাররা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে বৎসরের জন্য ডেভেলপারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ডিএসইতে শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোনের বাজার মূলধন ৪২,৮৫৮ কোটি টাকা

gramnনিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাজার মূলধনের শীর্ষে অবস্থান করছে টেলিকম খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন। ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু গত সাত বছরে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৫৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ১৩ শতাংশের বেশি।

ডিএসইর বাজার মূলধনের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ১৮ হাজার ৫৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ৬৯৫ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ মুহূর্তে ডিএসইর বাজার মূলধনের প্রায় ৬ শতাংশ রয়েছে কোম্পানিটির দখলে।

মূলধনের দিক থেকে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএসটিবিসি), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক ও রেনাটা লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন যথাক্রমে ১৪ হাজার ৭১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ১১ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকা, আট হাজার ৫০১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, সাত হাজার ১৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও ছয় হাজার ১১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলো বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধনের যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭৫, ৩ দশমিক ৩৩, ৩ দশমিক, ২ দশমিক ২৫ ও ২ দশমিক ১৫ শতাংশ দখলে রেখেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ