লেনদেনের ১ম সপ্তাহে শীর্ষ তালিকায় বিবিএস ক্যাবলস

lankaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত ৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। বিগত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ০.৮৮ শতাংশ। এসময়ে এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ২৮ লাখ ২৮ হাজার ১৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ২৪৫ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে মাত্র ৪ দিনের লেনদেনে শীর্ষ দশের তিনে অবস্থান করছে বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড.।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি সিটি ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৯ শতাংশ। এই সপ্তাহে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮ হাজার ৫৩২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ২০৩ কোটি ৫২ লাখ ৮১ হাজার টাকা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৩৩ কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। কোম্পানিটি ৩১ জুলাই লেনদেন শুরু করেছে। তাই আগের সপ্তাহের দর বাড়ার হারের সাথে তুলনা করা গেলে না।

শীর্ষ ১০এর তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে-  সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক লি., মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.,ফু-ওয়াং ফুডস লি.,আইডিএলসি ফাইন্যান্স লি., এবং জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লি.।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মোদক.

জলাবদ্ধতার অজুহাতে বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম

bazar-1বিশেষ প্রতিবেদক :

রাজধানীর জলাবদ্ধতার অজুহাতে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। গত দুই সপ্তাহে ঘন ঘন বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেড়েছে সবজির দাম। শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে কাঁচামালের সরবরাহ কমে গেছে -এ অজুহাতে সবজিসহ কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে মাছের দরও বেশ চড়া। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বাড়তি দামের কারণে কাঙ্ক্ষিত পণ্য কিনছেন না।

বিক্রেতারা বলছেন, অতি বর্ষণে রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনি। অনেক স্থানে কাঁচা পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে সব থেকে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।

এ ছাড়া আমদানি করা টমেটো ৬০, ঢেঁড়স ৪০-৫০, করলা ৪০-৬০, পটোল ৪০-৬০, কচুরমুখী ৫০-৬০, ধুন্দল ৪৫-৫০, ঝিঙ্গে ৪০-৫০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৫০-৬০, কাঁকরোল ৪০-৬০ নতুন শিম ১০০-১২০ টাকা টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও জানা যায়, দেশি পিঁয়াজ দাম বেড়ে কেজি প্রতি ৪০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা; শিম ১২০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা; দেশি টমেটো ১০০ টাকা; শসা ৫০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা; কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা; পটোল ৫০-৬০ টাকা; ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা; করলা ৫০-৫৫ টাকা; কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা আমিনুল জানান, কয়েক মাস ধরেই পটোল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। তবে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

bazar

বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টিতে স্থবিরতা ছাড়াও খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট ও যানজটের কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে সময়মত সবজির ট্রাক পৌঁছাতে পারছে না। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।

তাদের মতে, সব ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের। একদিকে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে; অন্যদিকে বর্ষার কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। কোনো দিকেই স্বস্তি নেই। এভাবে চললে জীবনযাপন করাই কঠিন।

কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি এটিএম ফারুক বলেন, প্রতিদিন এ বাজারে আড়াইশর বেশি ট্রাক সবজি নিয়ে প্রবেশ করে। বৃষ্টি ও পানির কারণে বেশির ভাগ ট্রাকই বাজারে ঢুকতে পারেনি। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে ভোক্তা ছাড়াও এ খাতে নিয়োজিত ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

মুদিবাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিভিন্ন পণ্য আগের দরেই রয়েছে। তবে বেড়েছে বোতলজাত তেলের দাম। রূপচাঁদা পাঁচ লিটারের বোতলের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ৫৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তীর ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের বোতলে সর্বোচ্চ খুচরামূল্য এখন ৫৩০ টাকা, যা আগে ছিল ৫২০ টাকা। এ ছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়ে তীর ১০৭ ও রূপচাঁদা ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আগের দরের থেকে প্রতি লিটারে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেশি।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া মাছের দাম কমেনি। উল্টো আরও বেড়েছে। বিভিন্ন মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ২৫০-৩৫০, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০, কাতল ৩৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, সিলভারকার্প ২০০-২৫০, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা এবং কেজি হিসেবে প্রতি কেজি মাঝারি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

দর পতনের শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি.

pragatilifeস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শীর্ষ ১০ দর পতনের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি.। গত গত ৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সপ্তাহে জেড ক্যাটাগরির এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দর কমেছে ১৬.০৭ শতাংশ। শীর্ষ ১০ দর পতনের তালিকার তিনটি কোম্পানি বিমা খাতের।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ১ কোটি লাখ ৩৬ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৯.৫৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৩ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে পাট খাতের কোম্পানি জুট স্পিনারস লিমিটেড। জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানির শেয়ার দর ৭.৩৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৪ কোটি ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৮১ লাখ ৯ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া শীর্ষ ১০ দর পতনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি.’র ৬. ১৫ শতাংশ, লার্ফাজ সুরমা সিমেন্ট লি. ৬. ০৯ শতাংশ,  জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রি লি. ৫. ৯৭ শতাংশ, রহিমা ফুড করপোরেশন লি. ৫. ৯১ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি.’র ৫. ৮৩ শতাংশ, ব্র্যাক এসসি বন্ড ৫. ৬৬ শতাংশ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লি.’র ৫. ১১ শতাংশ দর কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক

দর বাড়ার শীর্ষে ব্যাংকিং খাত, ১ম রূপালী

rupaliস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শীর্ষ ১০ দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক লিমিটেড।  গত ৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ১৬.৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষে থাকল ব্যাংকটি। দর বাড়া শীর্ষ ১০টি কোম্পানির ৭টিই ব্যাংকিং খাতের।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৮ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ব্যাংকিং খাতের আরেক কোম্পানি থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ১৫.১৮ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৪ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ২১ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর বৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির শেয়ার দর ১৩. ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৭ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৩৫ কোটি ৫১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া শীর্ষ ১০ দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংক লি.’র ১৩. ০৮ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক লি.’র ১১.৫৭ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুড লি.’র ১১.২৬ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড লি.’র ১০. ৪০ শতাংশ, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লি.’র ১০.০৮ শতাংশ, সিটি ব্যাংক লি.’র ৯.৬৯ শতাংশ এবংব্যাংক এশিয়া লি.’র ৯.৬০ শতাংশ দর বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক

সূচক মিশ্র থাকলেও লেনদেন বেড়েছে ৭০.৭২%

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট : গত ৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭০ দশমিক ৭২ বেড়েছে।  সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৭০.৭২ শতাংশ। তবে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র অবস্থা রয়েছে। ডিএসই’র সাপ্তাহিক লেনদেনের ওপর তৈরিকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট  ৫ হাজার ৩২১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন ৭০ দশমিক ৭২ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ১১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক ৬৫.৩৮ বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৮৮০ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ৫,৮১৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক ৫.৯৮ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২৩ পয়েন্টে । যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ২১২৯ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ৬.০২ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩১৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এ সপ্তাহে দর বেড়েছে ১৭৭টি কোম্পানির। এর অাগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা কমেছে ৯টি। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ১৮৬টি কোম্পানির।

এ সপ্তাহে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে ২৪টি। এই সপ্তাহে দর কমেছে ১৪২টি কোম্পানির । এর অাগের সপ্তাহে দর কমেছিল ১১৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ২৮টি। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এদিকে, সিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ৩২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ১৮৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এ সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ  টাকা বা ৬২.৭৬ শতাংশ। সিএসই সূচক ১৯৭ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ১৮ হাজার ৩৯ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই সপ্তাহে কোম্পানির দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা ১৫৬টি কমেছে। এ সপ্তাহে দর ১১৮টিতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২.৭৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩.৫৫ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/মোদক.