স্টকমার্কেট প্রতিবেদক :
লভ্যাংশ নেই সাত বছর, তারপরও দাম বেড়েই চলেছে শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউয়ের। বরাবরের মতো সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়া হবে না দেবে না বলে মঙ্গলবার কোম্পানিটি ঘোষণা দেয়। খবরটি নেতিবাচক হলেও কার্যত কে অ্যান্ড কিউয়ের শেয়ারে এর ইতিবাচক প্রভাবই পড়েছে।
একদিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারটির দর ১৭ টাকা ৪৪ পয়সা বেড়ে ১১৫ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
সোমবার কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় কোনও লভ্যাংশ না দেওয়ার সুপারিশ আসে বলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে জানানো হয়।
২০১৭ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরে কে অ্যান্ড কিউ ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে পাঁচ পয়সা; শেয়ারপ্রতি সম্পমূল্য (এনএভি) রয়েছে ঋণাত্মক ১১ টাকা ৪৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ঋণাত্মক ৪৮ পয়সা।
এমন নেতিবাচক পরিস্থিতির পরও ঢাকা স্টক একচেঞ্জে দর বৃদ্ধিতে এদিন শীর্ষে উঠে কে অ্যান্ড কিউয়ের শেয়ার। সোমবার ৯৮ টাকায় লেনদেন হওয়া এ শেয়ারটি মঙ্গলবার ৯৮ টাকা থেকে ১৪১ পর্যন্ত লেনদেনে হয়েছে।
ড্রাইসেল ব্যাটারির কার্বন রড প্রস্তুতকারী কে অ্যান্ড কিউ বছরজুড়েই দরবৃদ্ধির চমক দেখিয়ে আসছে। ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, গত ৫২ সপ্তাহে শেয়ারটি ২৪ টাকা থেকে দর বেড়ে ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
গত ৩০ এপ্রিল শেয়ারটির দর ছিল ৩৯ টাকা। সেখান থেকে একটানা বেড়ে চারমাসে চারগুণ দাম বেড়ে ৩১ অগাস্ট পৌঁছায় ১৫৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
‘অস্বাভাবিক’ এ দরবৃদ্ধির সময় গত মে থেকে অগাস্ট পর্যন্ত অন্তত তিনবার ডিএসই থেকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে দরবৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয় তাদের কাছে এ ধরনের তথ্য নেই।
জেড ক্যাটাগরির এ শেয়ারটি প্রথম দুই প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখায় এক টাকা ২৯ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে ৩০ পয়সা লাভ দেখানোয় শেয়ারপ্রতি লোকসান কমে দাঁড়ায় ৯৯ পয়সায়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/শুভ/এমএ