নাহী অ্যালুুমিনিয়ামের শেয়ারে ৮১২% মুনাফা : ১২০ টাকায় লেনদেন

Nahiস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

গতকাল দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। সর্বশেষ লেনদেন হয় ৮৩ কোটি টাকায়, যা ইস্যুমূল্যের চেয়ে ৮১২ শতাংশ বেশি। স্থিরমূল্য পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে কোম্পানিটির শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রথম কার্যদিবসে নাহী অ্যালুমিনিয়াম শেয়ারের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১২০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৮০ টাকা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রান্তিক আর্থিক ফলাফল অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নাহী অ্যালুমিনিয়ামের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আইপিও-পরবর্তী শেয়ার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৫২ পয়সায়। ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ১৬ টাকা ১০ পয়সা।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে নাহী অ্যালুমিনিয়ামের পর্ষদ। ২৮ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের তেলিহাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সপ্তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তা অনুমোদনের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। রেকর্ড ডেট ছিল ১২ ডিসেম্বর। এর আগে ১৬ নভেম্বর সেন্ট্রাল ডিপজিটরি সিস্টেমে আইপিওর শেয়ার জমা করে কোম্পানিটি।

সর্বশেষ হিসাব বছরে নাহীর নিট মুনাফা হয় ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ টাকা, আগের বছর যা ছিল ৫ কোটি ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

বিবিএস গ্রুপের কোম্পানি নাহী অ্যালুমিনিয়াম বিভিন্ন ধরনের অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল তৈরি করে। ১২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের এ কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি টাকা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

বাচ্চুর পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়েছে দুদক

dudokস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক লেনদেনের সব নথি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ চাহিদাপত্র পাঠানো হয় বলে কমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আবদুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঋণ জালিয়াতির অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লেনদেনের এ তথ্য চেয়েছে দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে আবদুল হাই বাচ্চু ছাড়াও তার স্ত্রী, দুই সন্তানসহ পরিবারের ১০ জন সদস্যের লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে দুদক। পাশাপাশি তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ক্রাউন প্রপার্টিজ, বিএম কম্পিউটার্স ও ইডেন ফিশারিজ লিমিটেডের আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য বণিক বার্তাকে বলেন, আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে এরই মধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক থেকে আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে তা দুদকে পাঠাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের দ্বিতীয় দফায় ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত

bsecস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে গঠিত ‘ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিল’ থেকে দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে পারবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো। এজন্য তাদের ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত যারা তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নেয়নি তাদের জন্যও সুযোগ থাকছে। গতকাল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিল’সংক্রান্ত তদারকি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, আজকের সভায় দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তহবিল থেকে ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করার মেয়াদ এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটি আরো তিন মাস বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএসইসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্কালীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি, তহবিলের সুদহার হ্রাস করে ৬ শতাংশ নির্ধারণ, দ্বিতীয় মেয়াদে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ এখনো পর্যন্ত তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নেয়নি তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত একমাত্র ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ছাড়া আর কেউই আবেদন করেনি। তাই এখন দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান যারা প্রথম দফার ঋণ পুরোপুরি শোধ করেছে তাদের অর্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়াতে আবারো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের মেয়াদ বাড়ানোর পর দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ৮২ কোটি টাকার ঋণসহায়তা নিতে আবেদন করে। এর মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট ৫৬ কোটি, এফএএস ক্যাপিটাল ১২ কোটি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং (আইএল) ক্যাপিটাল ৪ কোটি ৫২ লাখ, গ্রীনল্যান্ড ইকুইটি ১ কোটি ১০ লাখ ও বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণসহায়তা নিতে আগ্রহী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১১ সদস্যের নতুন কমিটি

BMBA_Logoস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) ২০১৮-১৯ মেয়াদের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটির ১১ সদস্যের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল দিলকুশায় বিএমবিএর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন বিএমবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এএএ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ হাফিজ।

নতুন নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন— বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াদ মতিন, এএফসি ক্যাপিটালের সিইও মাহবুব হোসেন মজুমদার, বিএমবিএর বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এমটিবি ক্যাপিটালের সিইও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটালের সিইও মো. রফিকুল ইসলাম, সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সিইও তাহিদ আহমেদ চৌধুরী, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টের ক্যাপিটাল মার্কেট অপারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মাইডাস ইনভেস্টমেন্টের সিইও মুহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন, আইআইডিএফসি ক্যাপিটালের সিইও মুহাম্মদ ছালেহ আহমেদ, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সিইও মো. সোহেল রহমান, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেসের সিইও মো. আবু বকর ও গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সিইও মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। ১১ সদস্যের এ কমিটি থেকেই আগামী মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট, দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও ট্রেজারার মনোনীত করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮-১৯ মেয়াদে নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের জন্য বিএমবিএর সাবেক সভাপতি ও এএএ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাফিজের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন সিকদার।

গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর একজন প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ১১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় নির্বাচনে ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি। ৩১ ডিসেম্বর বিএমবিএর ২০১৬-১৭ মেয়াদের কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেদিন নতুন কমিটির প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও ট্রেজারারের নাম ঘোষণা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ