সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে বেশির ভাগ শেয়ারের দরই বেড়েছে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে।এ সপ্তাহে ডিএসইতে বেশির ভাগ শেয়ারের দরই বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

একই সঙ্গে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।

উক্ত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ২৩১ টির, কমেছে ৮৫টির আর অপরিবর্তীত ছিল ২৩টির দর এবং লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির।

অন্যদিকে মোট লেনদেনের ৮৮.২২ শতাংশ ছিল এ ক্যাটাগরির, ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বি ক্যাটাগরির, ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ এন এবং ৩ দশমিক ০১ শতাংশ ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির দখলে।

অন্যদিকে এ সময় সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

লেনদেন হওয়া মোট ২৭১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০০ টির, কমেছে ৫৬টির আর অপরিবর্তীত ছিল ১৫টির দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৪ দিন পর থেকেই জমে উঠলো বানিজ্য মেলা

tradস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

যে কোনো মেলার প্রাণ ক্রেতা-দর্শনার্থী। ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরুর পর একে একে ৪ দিন কেটে গেলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের খুব একটা সাড়া মিলছিল না। অবশেষে পরিবর্তন হয়েছে সে অবস্থার।

মেলা শুরুর পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণা। শুক্রবার সকাল ১০ টায় গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মেলায় প্রবেশ করতে থাকেন দর্শনার্থীরা। দেখতে দেখতে প্রায় ভরে যায় মেলা প্রাঙ্গণ। তবে প্রথম ঘণ্টায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম।

ছুটির দিনে অফিস ও কাজের চাপ না থকায় অনেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। আবার স্কুল, কোচিংয়ের বিড়ম্বনা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী দল বেঁধে এসেছেন মেলায়। নানা বয়সের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে মেলার মাঠ।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, গৃহস্থলী এবং শিশু ও নারী সামগ্রীর স্টলগুলোতে ভিড় বেশি। ইলেকট্রনিক্স পণ্য, রান্নার সামগ্রী ও পোশাকের দোকানগুলোতেও এদিন চোখে পড়ার মতো ক্রেতা-দর্শনার্থী দেখা গেছে। তবে দেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নের মতো জমজমাট অবস্থা দেখা যায়নি বিদেশি প্যভিলিয়নগুলোতে।

মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা বাসিন্দা সজিববলেন, বাণিজ্য মেলার শুরুর দিন থেকে বাচ্চারা এবং ওদের মা ঘুরতে আসার আবদার করছে। তাদের আবদার পূরণ করতে মেলায় এসেছি। তবে আজ কেনাকাটার খুব একটা ইচ্ছা নেই। আজ ঘুরে ঘুরে দেখাই মূল উদ্দেশ্য। মেলার শেষের দিকে কেনাকাটা করার ইচ্ছা আছে।

কলাবাগান মেলায় ঘুরতে আসা রহিমা বলেন, ছুটির দিন থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় চলে এসেছি। ছোট বাচ্চার খেলনা ও একটি ড্রেস কিনেছি।

মেলায় ৭ বন্ধুর সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ ছুটির দিন। কলেজ বন্ধ, তাই বন্ধুরা মিলে মেলায় ঘুরতে এসেছি। কোনো কিছু কেনার উদ্দেশ্য নেই। এদিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ায় বেশ খুশি বিক্রেতারাও।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮.৪২%

epbস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। তবে ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আলোচ্য মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৭২ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুধু ডিসেম্বরে বিভিন্ন খাতের রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের ডিসেম্বরের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া কৃষি পণ্য রপ্তানি ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ২১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে আয় ২৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ১ দশমিক ২১ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

নাম পরিবর্তনে আগ্রহী হয়ে পড়ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

নাম পরিবর্তনের আগ্রহী হয়ে পড়েছে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর। সম্প্রতি কিছু কোম্পানি নাম পরিবর্তন করেছে। নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে আরো কিছু কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম পরিবর্তনের আগ্রহী কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিএমসি কামাল, সজিব নিটওয়্যার, কাশেম ড্রাইসেল, তাল্লু স্পিনিং মিলস এবং মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড। মালিকানা পরিবর্তন ও কোম্পানিকে নতুন করে ব্রান্ডিং করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ।

এ কোম্পনিগুলোর মধ্যে সিএমসি কামালের নাম পরিবর্তন করে ‘আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড’ রাখা হয়েছে। এ কোম্পানিটি নতুন রাইট শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে আরো টাকা উত্তোলন করছে। এ গ্রুপের মালিকানায় এসেছেন আলিফ গ্রুপ।

‘সজিব নিটওয়ার লিমিটেড’ নামে আরো একটি কোম্পানি কিনেছে আলিফ গ্রুপ। সজিব নিটওয়ারের নাম পরিবর্তন করে ‘আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’করা হয়েছে।প্রতিষ্ঠানটি ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে মূলবাজারে লেনদেন করছে।

এছাড়াও হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শতভাগ শেয়ার কিনে কোম্পানিটির নাম হয়েছে ‘লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড’।

সর্বশেষ কাশেম ড্রাইসেলস লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে ‘কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং (সিইপিজেড) নাম পরিবর্তন করে ‘টয়ো নিটেক্স’ (সিইপিজেড) এবং তাল্লু স্পিনিং মিলস নাম পরিবর্তন করে ‘টয়ো স্পিনিং মিলস লিমিটেড’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা বোর্ড সভায় এ নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি