বেসিকের বাচ্চুকে তৃতীয় দফায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

basicস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাচ্চু দুদক কার্যালয়ে আসেন। দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য জানান, কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তাকে জিজ্ঞাবাদ করা শুরু হয়। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে তিনি দুদকের কাছে এক মাস সময় চান। কিন্তু দুদক তার আবেদন প্রত্যাখান করে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে দুদকের তলবে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথমবার হাজির হন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য বাচ্চু। ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বাচ্চুকে নিয়োগ দেয় সরকার। ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

আপন জুয়েলার্সের মালিক ৩ ভাইয়ের জামিন বহাল

courtস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও এ এম আমিন উদ্দিন । অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিনের মুক্তি পেতে আর কোন বাধা না থাকলেও আপন জুয়েলর্সের অপর মালিক দিলদার আহমেদ আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে।

এর আগে হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটিতে দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন। গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করে। রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকলো।

গত মে মাসে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। তারপর সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর আপন জুয়েলার্সের অবৈধ লেনদেন বিষয়ে তদন্তে নামে।

গেল বছরের মে মাসের শেষ দিকে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। পরে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার, গুলজার ও আহমেদ আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারি কমছে, সুশাসন শুরু হয়েছে: দুদক চেয়ারম্যান

dudokস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারি কমছে। সুশাসন শুরু হয়েছে। কারণ গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়েছে বলে ধারণা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারি কমছে। সুশাসন শুরু হয়েছে। কারণ গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়েছে। ক্রেডিট ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকের বোর্ডগুলো ভালো ভালো উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা কাজ করছেন।’

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার দিকে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ম থাকলে অনিয়ম বের হবেই। যেখানে নিয়ম থাকে সেখানে কিছু অনিয়ম থাকেই।’

বেসিক ব্যাংকের মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে মামলা হয়েছে। তবে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রিপোর্টটি যথেষ্ট না। তবে এই রিপোর্টটি আমরা আমলে নিয়েছি। চার্জশিট কবে, কখন হবে তা তদন্ত কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। আমি বলতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরের পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর চলছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে জাপান, চীনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৭ কোটি মানুষের জন্য শ্রমবাজার সৃষ্টি হবে। যার ১৮ শতাংশ শ্রমিক থাকবে বাংলাদেশে। সেই শ্রমিক দক্ষ হবে না, শিক্ষিত হবে তা বিবেচনা করে আমরা শিক্ষাখাতের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবো। এছাড়া দেশের ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে দৃশ্যমান কিছু কাজ করবো।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের সিংহভাগ অর্থ ব্যয় হয় প্রকৌশল খাত হয়ে। এই খাতের টেন্ডার, ক্রয়-বিক্রয় যাতে না হয়, সরকারি অর্থের অপচয় যেন না হয় সেই বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে সভা করবো।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বড় প্রজেক্টগুলোর দুর্নীতি বন্ধে আমরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছিলাম,কিন্তু পাইনি। কেবিনেটেও (মন্ত্রিসভা) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সহযোগিতা পাইনি। তবে আমি আশাহত নই। কেবল আলোচনা হয়েছে, আমরা সহযোগিতা পাবো।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

৫ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার ১৭২ কোটি টাকার

soncoyস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই- নভেম্বর) সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার ১৭২ কোটি টাকার। এর মধ্যে গত নভেম্বর মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে এই খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার কথা ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নভেম্বরে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকার। এই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে ৫৪৪ কোটি টাকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের নভেম্বর মাসে ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্রের বিক্রি হয়েছে। যা ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের চেয়ে ৫৪৪ কোটি টাকা কম।

অবশ্য চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে অর্থাৎ জুলাই-নভেম্বর সময়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৮৫৩ কোটি টাকা। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই- নভেম্বর) সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ২০ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়লেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মতো নভেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে গেছে। নভেম্বর মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার―যা অক্টোবর মাসের চেয়ে ৭৬৩ কোটি টাকা কম। অক্টোবর মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছিল ৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এর আগে সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছিল তিন হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। আগস্টে নিয়েছিল ৩ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ঋণ নিয়েছিল ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি

পাচার বন্ধে বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানি হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

naraynস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

শুধুমাত্র ইলিশ পাচার ঠেকাতে বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী থেকে পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, চোরাই পথে ইলিশ পাচার হওয়ায় রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমনকি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যখন তা ঠেকাতে পারছে না তখন বাধ্য হয়েই সরকার বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নারায়ণ চন্দ্র বলেন, দেশীয় ইলিশ চোরাই পথে যখন বর্ডার পার হয়ে অন্য রাষ্ট্রে যায় তখন বড় বড় ইলিশই যায়। কত বেশি পরিমাণে ইলিশ এভাবে চলে যায় তা আজও ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। আমরা রপ্তানির দিকে যেতে চাচ্ছি এই কারণেও যে আমাদের ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা রয়েছে। সে জন্য আমরা কিছুটা রপ্তানি করতে চাই। অবৈধপথে পাচারের পথ সংকুচিত করতেই বৈধপথে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

২০১২ সালের ১ আগস্ট থেকে ইলিশসহ সব মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইলিশ ছাড়া অন্য সব মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। গরুর মাংসের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মাংসের দাম কম। কাজেই অতীতের পর্যায়ে দাম নিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হবে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দামের ব্যাপারটা মেনে নিতে হয়। তারপরও আপনারা (সাংবাদিকদের) যতটুকু অতিরিক্ত মনে করছেন সেটুকু এক থেকে দুই বছরের মধ্যে দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব, গরুর মাংসের দাম নিয়ে এমনই আশ্বাস দেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের পাওয়ার প্লান্টের নাম ও পার্টনার পরিবর্তন

paraস্টকমার্কেট ডেস্ক :

পার্টনার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যৌথ উদ্যোগে পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করতে যাওয়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড। সোমবার ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ একরন ইনফ্রাসট্রাকচার সার্ভিসেসকে বাদ দিয়ে নতুন করে বাংলা ট্রাক লিমিটেডকে অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যৌথভাবে ২০০ মেগাওয়াটের এই পাওয়ার প্লান্ট তৈরী করা হবে। যার ৫০ শতাংশ মালিকানা হবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের।

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও একরন ইনফ্রাসট্রাকচার সার্ভিসেস যৌথভাবে ২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করবে। এক্ষেত্রে কনসোর্টিয়ামের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘প্যারামাউন্ট একরন এনার্জি কনসোর্টিয়াম’ নাম পরিবর্তন করে ‘প্যারামাউন্ট বিট্রাক এনার্জি কনসোর্টিয়াম’ গঠন করেছে।

যৌথভাবে নির্মাণ করা এই পাওয়ার প্লান্টের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল। আর বাকি ৫০ শতাংশের মালিকানা হবে বাংলা ট্রাক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ড্রাগন সোয়েটারের বোর্ড সভা ১৪ জানুয়ারি

dragonস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার এন্ড স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ১৪ জানুয়ারি আহবান করা হয়েছে। সোমবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ২০১৭ সালের ২য় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা তিন টায় রাজধানীতে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির ২য় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএইচ

  1. প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
  2. সিটি ব্যাংক
  3. ইফাদ অটোস
  4. ব্র্যাক ব্যাংক
  5. ন্যাশনাল টিউবস
  6. আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
  7. ড্রাগন সোয়েটার
  8. গ্রামীন ফোন লিমিটেড
  9. লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট
  10. স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম দিন শেষে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম হয়েছে। এদিন সূচকও আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমেছে। তবে এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭.৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২১.৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৬১ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৮৫ কোটি টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৬৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২১৩টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৪টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটোস, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্রাগন সোয়েটার, গ্রামীন ফোন লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড।

এদিকে দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১০২.১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৪১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।

এদিন টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১১ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইবিএল ও সিটি ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২০১৭ সালে মোবাইল অ্যাপসে লেনদেন সাড়ে ২২ লাখ; গ্রাহক ২৫ হাজার

mobilস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

বিদায়ী বছরে ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ লেনদেন সম্পন্ন হয়। আর এভাবে লেনদেনের আদেশ আসে প্রায় ৩৬ লাখ। এদিকে ২০১৭ শেষে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করা গ্রাহকসংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই অ্যাপ চালুর পর ক্রমবর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে, যা ২০১৭ সালের শেষে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ২৬ জনে। অন্যদিকে ২০১৭ সালে মোবাইলের মধ্যমে মোট ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৫টি আদেশ প্রেরণ করা হয়। যার মধ্যে ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৭টি আদেশ কার্যকর হয়। যথাসময়ে আদেশ (শেয়ার কেনাবেচার প্রস্তাব) না দেওয়ায় বাকিগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

গত ৯ মার্চ ২০১৬ সংযোজন হয় ডিএসই-মোবাইল অ্যাপ। অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারবাজারের লেনদেনকে করেছে সর্বাধুনিক ও সহজসাধ্য। ডিএসইতে মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন এই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের উদাহরণ।

ডিএসইতে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী বছরের শেষ দুই মাসে মোবাইল অ্যাপের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। অক্টোবরে যার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। ২০১৬তে এই অ্যাপ চালু হলেও জনপ্রিয়তা ২০১৭ সালের প্রথমদিকে। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৭-এর প্রথম চার মাসে গ্রাহকসংখ্যা বাড়ে প্রায় সাত হাজার। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করে এমন রেজিস্টার্ড গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ হাজার ৯৭৬ জনে। পরের সাত মাসে যা প্রায় দ্বিগুণ হয়।

বিনিয়োগকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই আমরা মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিলাম। ইতোমধ্যেই আমরা আশানুরূপ সাড়া পেয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত এভাবে লেনদেনকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।

তিনি আরও বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। পৃথিবীর সব দেশের পুঁজিবাজারই এখন ডিজিটাল। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না।

মোবাইল অ্যাপসটি শূন্য গ্রাহক নিয়ে এর যাত্রা শুরু করে। ওই বছরের জুনেই তা দুই হাজার অতিক্রম করে। অক্টোবরে তা দ্বিগুণ হয়। আর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে মোবাইলে লেনদেনে গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়ায় ছয় হাজার। অর্থাৎ গত বছর এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৯ হাজার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ