সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ৬০ কোটি টাকার লেনদেন

blockস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এ সব কোম্পানির প্রায় ৬০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো : আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ট্যানারি, বাটা সু, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন, অলিম্পিক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে এ সব কোম্পানির ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৬টি শেয়ার ৩৮ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণ ফোনের। কোম্পানিটির মোট ২৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ৫ লাখ ২৭ হাজার শেয়ার ৫ বার হাত বদল হয়েছে।

সপ্তাহজুরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের। সপ্তাহজুরে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির ৪ লাখ ৯ হাজার ৬৪৬টি শেয়ার ৪ বার হাত বদল হয়েছে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির। এ কোম্পানির ১২ হাজার শেয়ার ৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, এপেক্স ট্যানারির ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বাটা সু’র ১ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৩ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার, ওয়ান ব্যাংকের ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি টাকার, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার এবং ইউনাইটেড পাওয়ারের ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহশেষে ডিএসইতে পিই কমেছে ২.৪১ শতাংশ

peস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.০২ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে বেড়ে ১৭.৪৪ পয়েন্টে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই ০.৪২ পয়েন্ট বা ২.৪১ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৬৭ পয়েন্টে। এছাড়া আর্থিক খাতের ১৮.৩৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৯.৬৩ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৮.২১ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৮২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৬.৭৪ পয়েন্ট, ওষুধ খাতের ১৯.৭৮ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের নেগেটিভ ২৩.৪১পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭.৭০ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ২১.২৩ পয়েন্ট, আইটি খাতের ২০.৫৯ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৬.৯৬ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ২১.২২ পয়েন্ট, বীমা খাতের ১২.৯৮ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ২৫.১৭ পয়েন্ট এবং বিবিধ খাতের ২৬.৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ব্যান্ডউইডথের দাম ১৫ শতাংশ কমালো বিএসসিসিএল

bsclস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। ব্যান্ডউইডথের নতুন এ মূল্য বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বিএসসিসিএলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসসিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) অপারেটরের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ আমদানি কমিয়ে আনতে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কক্সবাজারে প্রতি এমবিপিএস (মেগা বিটস প্রতি সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৩১০ টাকা। তবে এজন্য আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ৫০ জিবিপিএস (গিগা বিটস প্রতি সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ নিতে হবে।

ঢাকায় প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৪২৫ থেকে ৪৩৫ টাকার মধ্যে। এই দাম পেতে হলে আইআইজিকে বিএসসিসিএলের কাছে কমপক্ষে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ নিতে হবে। তবে ৫০ থেকে ২৫০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ কিনতে ঢাকায় আইআইজিদের গুণতে হবে ৬১০ টাকা, এটি এতদিন ছিল ৭১৯ টাকা। ৫০ থেকে ১৯৯ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ কিনতে ঢাকায় আইএসপিদের দিতে হেব ৬৮৫ টাকা, এতদিন এই ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ৭৯১ টাকা।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়। এর মধ্যে বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসে ৩৫২ এমবিপিএস। বাকি ১৫০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইডথ আসে আইটিসি অপারেটরের মাধ্যমে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

জানুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় ১৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার

dollarস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। ফলে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৩১ কোটি ২১ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট চলছে, এতে মূল্যও বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে ব্যাংকে পাওয়া যেত সর্বোচ্চ ৮০ টাকা, বর্তমানে তা ৮৩ টাকার বেশি। এ কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার আসা বেড়ে গেছে। বিদেশে কর্মরত বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ডলার সংগ্রহের জন্য আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে অবৈধভাবে যেসব আয় আসছিল, তাও কিছুটা কমেছে। অবৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বেড়ে গেছে।

গত সোমবার মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির আশা প্রকাশ করেন, চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়াবে। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবৈধ হুন্ডি লেনদেন প্রতিরোধ ও দমনে জোরালো কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রবাসী আয়-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে আয় এসেছে ১৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গত ডিসেম্বরে এসেছিল ১১৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে আয় বেড়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। এদিকে গত বছরের জানুয়ারি মাসে আয় এসেছিল মাত্র ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

জিএসপি ফাইন্যান্সের ২৩.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

GSPFINANস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের ২৩.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়া ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

এসময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.০৮ টাকা। আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫.২৪ টাকা।

কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।। আর রেকর্ড ডেট ২৫ ফেব্রুয়ারি ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএইচ.

সূচক পতনে বাজার, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা

low profit-smbdষ্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

টানা দরপতনের ধারায় দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। গত সপ্তাহ জুড়ে লেনদেন শেষে সূচক ও লেনদেন কমেছে ডিএসইতে। এ সপ্তাহে টানা তিন দিন ডিএসইতে প্রধান সূচক কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি ঘোষিত চলতি অর্থবছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতিতে শেয়ারবাজারে জন্য নেতিবাচক কিছু না থাকলেও বাজার পড়তে দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়েই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

এই সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ২৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪ টাকা।

এসময় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক সপ্তাহে ১৯৪.৩৬ পয়েন্ট বা ৩.১৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ৬০২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ৩৪.৩৮ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ কমে ১৩৯৭ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ৭৬.৭৭ পয়েন্ট বা ৩.৩৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ২২২৭ পয়েন্টে।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩৭ পয়েন্ট বা ২.৮০ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাড়িয়েছে ১৮৬২৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩২২ পয়েন্ট বা ২.৭৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০৪ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ এবং সিএসআই ৩২ পয়েন্ট বা ২.৪৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৪৯, ১৪১০, ১৬৯৫৯ ও ১২৪৯ পয়েন্টে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিবার মুদ্রানীতি আসে। এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দর পড়ে। আবার কিন্তু ঠিক হয়ে যায়। আসলে মার্কেট যখন আপ হয়ে যায়, তখন আবার কমে। এই মার্কেটে সূচক কিন্তু সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজারে উঠে গিয়েছিল। এরপর যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার কিনেছে, তাদের তো এটা বিক্রির সময়। আস্তে আস্তে মূল্য সংশোধন হয়। তারা আবার কম দামে কিনবে। আসলে যারা কম দামে কিনতে চায়, তারা বাজার ফেলে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিন্তু তা বুঝতে পারে না।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বুঝে-শুনে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন বাজার বিশেঞ্গরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ