শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া আমান কটনের আইপিও বাতিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে বিনিয়োগকারী একটি সংগঠন।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের (বিসিআইএ) দেওয়া এই চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির বিডিং প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে। কোম্পানির কর্তৃপক্ষ, ইস্যু ম্যানেজার, মার্চেন্ট ব্যাংক ও কতিপয় যোগ্য বিনিয়োগকারী পরস্পরিক যোগসাজসের মাধ্যমে শেয়ার দর অতিমূল্যায়িত করেছে।
এই চিঠিটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থমন্ত্রনালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন (দূদুক), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রেরণ করা হয় বলে জানানো হয়।
বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে স্মরণকালের মহাধসে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ২৫ বিনিয়োগকারী আত্মহুতি দিয়েছে। বহু বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে বাজার ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ২০০৯-১০ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ও ডাইরেক্ট লিস্টিং প্রবর্তনের কারণে শেয়ার বাজার অতিমূল্যায়িত্ব হয়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির অন্যতম কারণ অতিরিক্ত প্রিমিয়ামসহ ইস্যুকৃত শেয়ারে বিনিয়োগ করা।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে শেয়ারবাজারে দুর্দশার মূলেই রয়েছে অতিরিক্ত প্রিমিয়ামে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া। ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে প্রিমিয়ামসহ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করছে।
এসময় সংগঠনটি প্রিমিয়ামসহ আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ার দরের চিত্র তুলে ধরে। জানানো হয়, আরগন ডেনিমসের শেয়ার দর ২৫.৯০ টাকা কিন্তু ইস্যু মূল্য ৪৪ টাকা, হামিস ফেব্রিক্সের শেয়ার দর ২৪.৮০ টাকা, কিন্তু কোম্পানিটির ইস্যু মূল্য ৩৫ টাকা। এছাড়া রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর ১৬.২০ টাকা, ইস্যু মূল্য ২৫ টাকা, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িংয়ের শেয়ার দর ১৬.৭০ টাকা, ইস্যু মূল্য ২৭ টাকা, সায়হাম কটনের শেয়ার দর ১৫.২০ টাকা, ইস্যু মূল্য ২০ টাকা, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর ২১ টাকা, ইস্যু মূল্য ২৬ টাকা।
বর্তমানে টেক্সটাইল খাতের এই কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসা মূল্যের অনেক নিচে অবস্থান করছে। আমান কটন ফাইবার্স কোম্পানি লিমিটেডও অনুরূপ দুর্বল একটি কোম্পানি। সম্প্রতি বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার কাট-অফ প্রাইজ ৪০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক আচরণ হয়েছে এবং এখানে কারসাজির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে বিনিয়োগকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/মোহন