স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ওভার দ্য কাউন্টারের (ওটিসি) আদলেই শেয়ারবাজারে ওটিসি মার্কেটের উন্নয়ন করতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। অবহেলিত এই বাজারকে গতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্রের আদলে পৃথক বোর্ড গঠন ও নীতিমালার খসড়া করে প্রস্তাব পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে। এক বছরেও তা চূড়ান্ত হয়নি।
একটি সূত্র জানায়, কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বাজার পরিদর্শন করেছে। সেখানে কিভাবে ওটিসি পরিচালিত হয় সে বিষয়ে জেনেছেন। অন্যান্য দেশের ওটিসি বাজার ও আইন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
শেয়ারবাজার গতিশীল করতে পিছিয়ে পড়া ও লোকসানি কম্পানির ওটিসি মার্কেট উন্নয়নে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্যোগ নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। নামমাত্র ও অস্তিত্বহীন কম্পানি বাদ দিয়ে নতুন আঙ্গিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডিএসই সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওটিসি মার্কেটের ধারণা থেকে পৃথক বোর্ড গঠন ও খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। যার চূড়ান্ত অনুমোদনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো অনুমোদন পায়নি।
কমিশন সূত্র বলছে, ডিএসইর ওটিসি মার্কেট উন্নয়নে গত সেপ্টেম্বরে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন কমিশন গ্রহণ করেছে। ওটিসি মার্কেট বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে একটি কমিটিও গঠন করেছে কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনে নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিকে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওটিসি হচ্ছে মূল মার্কেটের বাইরে তালিকাভুক্ত কম্পানির শেয়ার লেনদেনের বিকল্প ব্যবস্থা। ক্রমাগত লোকসান, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ, লভ্যাংশ না দেওয়া, তালিকাভুক্তি অ-নবায়ন ও কাগুজে শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরিত বা ডিম্যাট করতে না পারা কম্পানিকে মূল বাজার থেকে চ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানো হয়। ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর ওটিসি মার্কেট চালু হয়।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত ৬৬ কম্পানির শেয়ার রয়েছে ৪১ কোটি ১১ লাখ। বাজার মূলধন ৭৮১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কম্পানির শেয়ার আছে তবে কম্পানির কোনো হদিস নেই। বছরে এক দিনও লেনদেন হয়নি এমন কম্পানির সংখ্যা ১২টি। এসব কম্পানির অস্তিত্ব রয়েছে; কিন্তু বাজারে কোনো কার্যক্রম নেই।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্তানুযায়ী ১৪ কম্পানি ডিম্যাট সম্পন্ন করেছে। ৬৬ কম্পানির মধ্যে ২১ কম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও পি/ই ধনাত্মক। অন্য কম্পানিগুলোর ইপিএস ও পিই ঋণাত্মক বা ক্ষতিতে রয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি/এমএম