চলতি সপ্তাহে ৪ প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সভা

boardস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চার প্রতিষ্ঠান বিডি ফাইন্যান্স, ঢাকা ব্যাংক, ইসলামী ফাইন্যান্স ও আল -আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকের বোর্ড সভা এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠান গুলো ৩১ মার্চ ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

অবশেষে ডিএসই’র অংশীদার হলো চীন, ১৪ মে চুক্তি

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ার ভারত না চীন পাবে, এ সংক্রান্ত বিতর্কের অবসান ঘটেছে। অবশেষে ডিএসই’র ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পেয়েছে চীন। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় বৃহস্পতিবার (৩ মে) চীনের কাছে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে গত সোমবার (৩০ এপ্রিল) বিশেষ সাধারণ সভায় ডিএসইর সদস্যরা চীনের পক্ষে সর্বসম্মতি দিয়েছিল।
বিএসইসি’র অনুমোদনে বলা হয়, চীনের শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ডিএসই’র মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার বিক্রির চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ২১ টাকা। তিনটি শর্তে এই চুক্তি হবে। এক্ষেত্রে চুক্তির কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও ২০১৩ সালের একচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের শর্ত অনুসারে হতে হবে। চুক্তির সইয়ের ১ বছরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া চুক্তির কোনও শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না।

জানতে চাইলে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বলেন, ‘বিএসইসি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। শিগগিরই চীনের সঙ্গে চুক্তি সই হবে। প্রাথমিকভাবে চুক্তির জন্য ১৪মে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর সময়ের ওপর নির্ভর করছে। তিনি দেশে এলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

জানতে চাইলে ডিএসই’র পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এই ঘটনা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের ইতিবাচক। আর ইতিবাচক বিষয়টি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে দেশের গণমাধ্যম।’

প্রসঙ্গত, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদাকরণ) শর্ত অনুসারে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি বাধ্যতামূলক। এ কারণে শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র আহ্বান করে ডিএসই।

এরপর চীনের দুই শেয়ারবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নেতৃত্বে দুই কনসোর্টিয়াম আলাদাভাবে দরপত্রে অংশ নেয়। এক্ষেত্রে চীনের প্রতিষ্ঠান ডিএসই’র ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দরপ্রস্তাব করেছে ২২ টাকা (লভ্যাংশ সমন্বয়ের পর ২১ টাকা)। এতে ৪৫ কোটি শেয়ারের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৯৯০ টাকা।

এছাড়াও স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি সহায়তার জন্য আরও ৩০৭ কোটি টাকা দেবে চীন। ফলে চীনা প্রতিষ্ঠানের অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ টাকা। বিপরীতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রস্তাব করেছে ১৫ টাকা। এতে শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৬৭৫ কোটি টাকা।

ফলে কারিগরি সহায়তাসহ চীনের সঙ্গে ভারতের মূল্যের পার্থক্য দাঁড়ায় ৬২৫ কোটি টাকা। তবে প্রভাবশালী একটি অংশ ভারতের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে চাপ দিয়েছিল। এক্ষেত্রে ভারতকে শেয়ার দেওয়ার ব্যাপারে কমিশনের দু-একজন সদস্যের অতি উৎসাহী তৎপরতা ছিল চোখের পড়ার মতো।

এনিয়ে অনেক ঘটনার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। আর এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি বিএসইতে পাঠানো হয়। ওইদিনই ডিএসইর প্রস্তাব পর্যালোচনা করতে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে কমিশন। এরপর ১৯ মার্চ ডিএসইর দেওয়া চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার প্রস্তাবের ব্যাপারে কিছু ব্যাখা চাওয়া হয়।

এছাড়াও সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনের কথা বলা হয়েছিল। এ নিয়ে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর বিএসইসি’র শর্তের অনুসারে ইজিএম করে সাধারণ সদস্যদের সম্মতির সিদ্ধান্ত নিলো ডিএসই। এই সিদ্ধান্তের লিখিত কপি পাওয়ার ২ দিনের মধ্যেই অনুমোদন দিলো বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

ন্যাশনাল হাউজিংয়ের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

national-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫৬ পয়সা। এ হিসাবে চলতি বছরে ৩ মাসে প্রতিষ্ঠানটির আয় ৮ পয়সা কমেছে।

৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬.৪৬ টাকা। যা গতবছর ২০১৭ সালে ৩১ মার্চ ন্যাভ ছিল ১৫.৯৪ টাকা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

ডিএসইতে পিই কমেছে ০.৮১ পয়েন্ট

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬.১৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে কমে ১৫.৩৩ পয়েন্টে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই ০.৮১ পয়েন্ট বা ৫.০২ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯.৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৯.৬ পয়েন্টে, ঔষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৩ পয়েন্টে, প্রকৌশলী খাতের ১৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২০.৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৬.৫ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ৩০.৫ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৪৮.৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.৩ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতের ১৬.২ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের – ২৩.৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ২৩.৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩০.৯ পয়েন্টে, সিরামিক্স খাতের ২০.৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতে – ৩৫.৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

২ দিনে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। তবে এসময় ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে ১৪৩৮ কোটি ৬৪ লাখ বা ৫৭.৪২ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৪,০৪,৬৬৭ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষদিনে কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৮,৩৪২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সপ্তাহের ২ কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইতে ১০৬৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ২৫০৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৪৩৮ কোটি ৬৪ লাখ বা ৫৭.৪২ শতাংশ কম।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ১১৫.১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ৪৩.৫০ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ২১২৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ২৪.৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩১৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৪২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ১টি কোম্পানির শেয়ার কোনো লেনদেন হয়নি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২৫ টাকার। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৮ টাকার।

উক্ত সপ্তাহে সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ০.৩৩১ পয়েন্ট বা ১.৮৪ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৫৫টি হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম