ডলারের বিপরীতে ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থানে রূপি

rupiস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান কমে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বুধবার সামগ্রিকভাবে ৪২ পয়সা কমে ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার দর হয়েছে ৭০.৫২ রুপি। যা ভারতীয় রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন মান। এর আগে গত ১৪ আগস্ট এক ডলারের বিপরীতে পাওয়া গিয়েছিল ৭০.৯০ রুপি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় বাজারে বুধবার দিনের শুরুতেই রুপির দাম কমে হয় ৭০.৩২। এরপর অব্যাহত থাকে রুপির দামের ওঠা-নামা। এদিন শেষবেলায় ভারতীয় মুদ্রার দাম দাঁড়িয়েছিল ৭০.১০ রুপিতে। শেষ পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ৪২ পয়সা কমে ডলারের সাপেক্ষে দর হয় ৭০.৫২ রুপি।

একদিকে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে মাস শেষে ডলারের চাহিদা তুঙ্গে। এই ধাক্কায় প্রবল চাপের মুখে রয়েছে রুপির দর। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো বাণিজ্য চুক্তি কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত দিলেও তাতে শেষরক্ষা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলতি বাণিজ্য-যুদ্ধ আরও কিছু দিন স্থায়ী হবে- এই উদ্বেগের প্রভাব পড়তে শুরু করে বাজারে। পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বাড়ায় রুপির ওপর আরও চাপ তৈরি হয়। বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বাধিক হয়ে পড়েছে। যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বিমসটেকের যোগাযোগে ৫ হাজার কোটি ডলারের মহাপরিকল্পনা

1535653602_51স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশসহ বিমসটেকের ৭ দেশের মধ্য পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহায়তা বাড়াতে ৫ হাজার কোটি ডলারের মাস্টারপ্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে। নেপালে আয়োজিত চতুর্থ সম্মেলনের আগে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই মহাপরিকল্পনায় সায় দিয়েছেন। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক- এডিবির এক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এসব পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক)-এর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন। এ উপলক্ষ্যে এরইমধ্যে ৭ দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে হাজির হয়েছেন।

খবরে জানানো হয়, ৫ হাজার ডলার ব্যয়ে এই মহাপরিকল্পনার উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা। বাংলাদেশ ছাড়া বিমসটেকের অন্য দেশগুলো হচ্ছে ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গেওয়ালি বলেন, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বিমসটেক ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ করছেন তারা। এ পরিকল্পনায় ১৬৭টি প্রকল্প রয়েছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রদীপ গেওয়ালি বলেন, ‘এই বিশাল পরিকল্পনায় অনেকগুলো দাতা সংস্থা আগ্রহী। এই প্রকল্পগুলো পরিচালনার জন্য আমরা এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ বেশকিছু সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি।’

এডিবির পর্যালোচনায় রয়েছে পরিবহন, আন্তঃসীমান্ত সুবিধা, সমুদ্রপথে পরিবহন, আকাশপথে পরিবহন, অবকাঠামো উন্নয়ন, লজিস্টিক সুবিধা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও যোগাযোগের পরিকল্পনার কথা।

২০১৪ সালে বিমসটেক ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড লজিস্টিক স্টাডি নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৬৬টি প্রকল্পে জোর দেওয়া হয় তাতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪০৮৬ কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেড়েছে সবগুলো সূচক। এ সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪০৮৬ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩,৯৬,২২৬ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষদিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯২,১৪০ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বা ৪০৮৬ কোটি টাকা।

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইতে ২,৯১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে দুই দিনে সেখানে ১০০৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৯০.২৬ শতাংশ বেশি।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৫৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬.১০ শতাংশ বেশি।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ২৯.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ১২.৫৫ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ১৯৬০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ১১.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬০ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৪৪ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬টি শেয়ারের কোনো লেনদেনের হয়নি।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড