তাজরিন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ার হোসেনের ফাঁসিসহ নতুন আইনে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০লাখ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। এছাড়া গার্মেন্টস কর্মীদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে তারা।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানিয়েছে তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যসহ গার্মেন্টস শ্রমিক সংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধনের আয়োজন করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, বিপ্লবী গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফোরাম, বাংলাদেশ লেবার রাইটস ফোরাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাজরিন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছয় বছর পার হলেও এর বিচার এখনো নিরবে কাঁদছে। ১১৩ জন শ্রমিকের হত্যাকারীরা মুক্ত বাতাসে গা ভাসিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিরীহ শ্রমিকদের জীবন হরণকারী এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইন সমীহের চোখে দেখছে। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরাও আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণের দাবি জানাই।
এ সময় বক্তারা তাজরিন গার্মেন্টসের মালিকের ফাঁসি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনাসহ, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, কারখানা চলাকালীন সময়ে গেইট খোলা রাখাসহ গার্মেন্টস কর্মীদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো হলো- প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সব শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে। পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট স্থাপন ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড