স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
কনটেইনার ওঠানামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। ২০১৭ সালে যেখানে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৫ লাখ ৬৬ হাজার একক; ২০১৮ সালে সেটি হয়েছে ২৯ লাখ তিন হাজার একক। এক বছরে সাড়ে ৩ লাখ একক কনটেইনার ওঠানামা বেশি হয়েছে; প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ।
বিদ্যমান জেটি এবং গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন কিছু যন্ত্রপাতি যোগ করে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে এই রেকর্ড।
জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসাল্ট (এইচপিসি) তৈরি মহাপরিকল্পনায় বলা আছে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এবং জেনারেল কনটেইনার বার্থ (জিসিবি) মিলিয়ে ২০১৯ সালে হবে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার একক এবং ২০২০ সালে হবে ২৯ লাখ একক। দুই বছর পরের পূর্বাভাস এখনই পূরণ করল চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ জানান, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ, এই কারণে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার ওঠানামা রেকর্ড করেছে। বন্দরে গত বছর কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অনেক যন্ত্রপাতি বন্দরের বহরে যোগ হওয়ায় বিদ্যমান জেটি দিয়েই বাড়তি পণ্য ওঠানামা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রতিবছর এই প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে আমরা নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করছি; যন্ত্রপাতি যোগ করে পণ্য ওঠানামা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। সেগুলো সচল হলে সক্ষমতা বাড়বে; আরো বেশি পণ্য ওঠানামা করা সম্ভব হবে।
বন্দরের হিসাবে, বিগত ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৩ লাখ ৪৭ হাজার একক। ২০১৭ সালে হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ ৬৭ হাজার একক। শতাংশের হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সোয়া ১০ শতাংশ। ২০১৮ সালে হয়েছে ২৯ লাখ তিন হাজার একক কনটেইনার। আর সাধারণ কার্গো ওঠানামা হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ একক। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার কনটেইনারের চেয়ে বেশি প্রায় ১৩ শতাংশ।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড