ব্রোকার হাউজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের দায়ে দুই সিকিউরিটিজ হাউজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির ৬৭৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিকিউরিটিজ হাউজ দুইটি হলো : সাদ সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং সালতা ক্যাপিটাল লিমিটেড।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৩১ মে ২০১৮ তারিখ ৩ কোটি ৯০ লাখ ১৯ হাজার ৬৬০.২৯ টাকা ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ(১) এবং রুল ৮এ(২) এর লঙ্ঘন, ক্যাশ হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৩(১) এবং ৩(২) লঙ্ঘন, পরিচালকদের ঋণ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কমিশনের ডাইরেক্টিভ নং-এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৩১ তারিখ মার্চ ২৩, ২০১০ এর লঙ্ঘন, বিনিয়োগকারীকে নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্স (৩ মাসের) এর ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৫(১) লঙ্ঘন এবং গ্রাহকের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ গ্রহন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮(১)(সিসি)(আই) এর লঙ্ঘন করায় সাদ সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে ২ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।

সমন্বিত গ্রাহক হসিাবে ৩১ মে ২০১৮ তারিখ ৩ লাখ ২২ হাজার ৭০২.৭৫ টাকা ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ(১) এবং রুল ৮এ(২) এর লঙ্ঘন, অনুমোদিত প্রতিনিধিদের নামে বিও হিসাব খুলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেডিং রাইট, এনটাইটমেন্ট সার্টিফিকেট) রেগুলেশনস, ২০১৩ এর রেগুলেশন ১৪ (৩)(iV) ও সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জে কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রদিনিধি) বিধিমালা ২০০০ এরি বিধি ৪(২)(৪) অনুযায়ী সম্পাদিত চুক্তিপত্রে ক্লজ-৫ এর লঙ্ঘন, গ্রাহকের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ/প্রদান করে সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮(১)(সিসি)(i) এর লঙ্ঘন, কর্মচারীর নামে হিসাব পরিচালনা ও ঋণ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কমিশনের ডাইরেক্টিভ নং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/৩১ তারিখ মার্চ ২৩, ২০১০ এর লঙ্ঘন, ক্যাশ হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৩(১) এবং রুল ৩(২) এর লঙ্ঘন এবং নন-মার্জিনেববল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কমিশনের ডাইরেক্টিভ নং- এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০১-৪৩/১৬৯ তারিখ ০১/১০/২০০৯ লঙ্ঘন করায় সালতা ক্যাপিটালকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

শাহজিবাজার শেয়ার কারসাজির ২.৩০ কোটি টাকা জরিমানা

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজিবাজার পাওয়ারের উল্লেখযোগ্য শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বাজারে কত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখার কারনে ২ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৬৭৫তম নিয়মিত কমিশন সভায় এই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জরিমানা করা হয়েছে- গোলাম মোস্তফা, নাসিমা আক্তার লতা ও স্টার শেয়ার বাজার লিমিটেডকে। এরমধ্যে স্টার শেয়ার বাজার লিমিটেডকে ১ কোটি টাকা, গোলাম মোস্তফাকে ৮০ লাখ টাকা ও নাসিমা আক্তার লতাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বাজারে কত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখার মাধ্যমে অভিযুক্তরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭(ই)(ভি) পরিপন্থী কাজ করে। যে কারনে কমিশনের ৫৪৬তম কমিশন সভায় শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তীর্তে অভিযুক্তরা কমিশনে রিভিউ আবেদন করে। যার আলোকে বুধবার জরিমানা করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

ক্যাপিটাল ফ্লাইং অর্থনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে: ইকবাল মাহমুদ

dudokস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) সংক্রান্ত অপরাধে দুদকের করা মামলায় সাজার হার শতভাগ। আজ বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টেট অব কোর্টস সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি। সংস্থাটির কারিগরি পরিচালক রবার্ট লকারির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান আইন অনুসারে অর্থ পাচারসংক্রান্ত মামলা পরিচালনার একক দায়িত্ব দুদকের নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ একাধিক সংস্থা এ অপরাধের তদন্ত করে। দুদক শুধুই ঘুষ ও দুর্নীতি সম্পৃক্ত অর্থ পাচারসংক্রান্ত অপরাধ তদন্তের ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

অর্থ পাচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এর মাধ্যমে শুধু সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয় না, বরং দেশের পুঁজি অন্য জায়গায় স্থানান্তর (ক্যাপিটাল ফ্লাইং) হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুদক চেয়ারম্যানকে জানান, তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তদন্তকারীরা যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করবেন, সেসব বিবেচনা করে বিশ্লেষণ করবেন প্রসিকিউটররা (আইনজীবী)। অর্থাৎ তদন্তকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং বিচারক অপরাধ দমনে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। আর অপরাধ দমনে কার্যকর তদন্ত ও আইনজীবী প্রয়োজন।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার সক্ষমতা হয়তো এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। তবে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। দুদকের স্থায়ী আইনজীবী নেই জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শুধু দুদক নয়, সরকারের কোনো স্থায়ী আইনজীবী নেই। এরপরও দুদক আইনজীবীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশন অনুমোদিত নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান বাংলাদেশের অর্থ পাচারসংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে তদন্তকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রশিক্ষণে সহায়তার আহ্বান জানান।সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

ঋণ খেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রকাশে হাইকোর্ট নির্দেশ

courtস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গত ২০ বছরের ব্যাংকের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে- তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আজ বিষয়টি নিয়ে শুনানিকালে আদালত বলেন, বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকিং খাতে এরইমধ্যে অর্থনৈতিকভাবে একটি নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে একটি শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা যেমন জাতির মেরদন্ড, অর্থ তেমনই একটি দেশের মেরুদন্ড- যার ওপর দেশ দাঁড়িয়ে থাকে। আদালত বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকে নিয়ম-নীতি মেনে ঋণ দেয়ার কথা ছিল। যদি তা না-মানা হয়, যারা যারা ঋণ গ্রহণ ও অর্থপাচার করেছেন, তাদের তালিকা এবং তাদের আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।

এছাড়া ওই আত্মসাতের অর্থ দেশ কিংবা বিদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, তা ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেয়।

এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে ঋণখেলাপি ও অর্থ আত্মসাৎকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ব্যাংকঋণের ওপর সুদ মওকুফের বিষয়ে তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এইআরপিবি-এর পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয় তদন্ত ও প্রতিরোধে সুপারিশ প্রনয়নের জন্য ১৯৫৩ সালের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

ইমারত নির্মাণে নকশা অনুমোদনে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে : গণপূর্তমন্ত্রী

Rezaulস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগামী পহেলা মে থেকে ইমারত নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদনে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সমন্বয়ে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেবা সহজীকরণ’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন পদ্ধতি চালু হলে কাউকে দালালের কাছে যেতে হবে না। অন্যায় পথে কাউকে কনভিন্স করার চেষ্টা করা লাগবে না। আগামী ১ মে থেকে আর কোনো ম্যানুয়ালি নকশা অনুমোদন বা অন্য কোনো আবেদনের সুযোগ থাকবে না।’

তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী এখন থেকে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ, গ্যাস সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ১৬টি সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। মাত্র চারটি সংস্থার অনাপত্তির ভিত্তিতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেওয়া হবে।

ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য চারটি স্তর তুলে ধরে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নিতে হবে। ভবনের উচ্চতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি নিতে হবে। তবে যেখানে বিমান চলাচল নেই, সেখানে অনাপত্তিপত্র আনতে যেতে হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিশেষ বিশেষ এলাকা বা স্পর্শকাতর এলাকার পাশে কোনো ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর অনাপত্তি লাগবে। আর ১০তলা ভবনের ঊর্ধ্বে হলে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি লাগবে। এছাড়া অন্য কোন কোনো কিছু প্রয়োজন নেই।’

রেজাউল করিম বলেন, একটা প্ল্যান পাসের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আগে সর্বোচ্চ সময় লাগত ১৫০ দিন। এই ১৫০ দিন থেকে আমরা কমিয়ে ৫৩ দিনে নিয়ে আসছি। ঠিকমতো হলে ৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট পেয়ে যেতে পারবেন। আমরা সর্বোচ্চ সীমাটা করেছি ৫৩ দিন।

ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা হলে যিনি ভবন নির্মাণের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনিও যেনতেন ভাবে করতে চাইবেন না। কারণ তিনি ভাববেন, এই ভবন ধসে গেলে আমার এতো টাকার ইন্স্যুরেন্সের টাকা দিতে হবে। অথবা কেউ যদি অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার শিকার হন, তার পরিবারও একটা নিশ্চয়তা পাবে। এই ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ইন্স্যুরেন্স পদ্ধতি আছে।

মতবিনিময় সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার,বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ মন্ত্রণালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসের ১ম ধাপের কাজ শেষ হবে জুন মাসে : ওবায়দুল কাদের

obaidul-quader-sm-en20170615130453স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র প্রথম ধাপ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত আগামী বছরের জুলাই মাসে এবং শেষ ধাপ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সম্পন্ন হবে।

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হলে উড়াল সড়কটির আংশিক শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রথম ধাপের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ২০ ভাগ। ১৩০৪টি পাইল, ২৮০টি পাইল ক্যাপ, ৬২টি ক্রস-বিম, কলাম ১৬৩টি (সম্পূর্ণ) ও ৮৪টি (আংশিক) এবং ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ২ টি স্প্যন আই গার্ডার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, আট হাজার নয়শত চল্লিশ কোটি আঠারো লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে।

পরিদর্শনকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আকতার এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাকসিথ সোয়ানাগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

ফরচুন সুজের ২০১৮ সালের ঋণমান প্রকাশ

fortuneস্টকমার্কেবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া শিল্প খাতের ফরচুন সুজ লিমিটেডের ঋণমান প্রকাশ করা হয়েছে । সম্প্রতি এই ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। বুধবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এসময় কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এ-’ । আর স্বল্প মেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এসটি৩’ ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

garmetnsস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি নির্যাতন বন্ধ ও চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হকের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, আইবিসির মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, যুব-মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতন, ছাত্র-মৈত্রীর সভাপতি রুবেল আহমেদ, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ও গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া।

আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা সাফিয়া পারভীন, রফিকুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, নাসিমা আক্তার, ইসরাত জাহান ইলা, হুমায়ুন কবির ও রবিউল চৌধুরী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, মজুরি বৃদ্ধি গার্মেন্টস শ্রমিকদের নায্য অধিকার। সরকার ও মালিক পক্ষ মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নানা ছলচাতুরি করে প্রতারণা করেছে। শ্রমিকদের রুজি-রুটির এ আন্দোলনকে কেন্দ্র ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শতাধিক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

  1. ফরচুন সুজ
  2. মুন্নু সিরামিকস
  3. ইউনাইটেড পাওয়ার
  4. প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
  5. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস
  6. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  7. নূরানী ডায়িং
  8. মুন্নু স্টাফলার্স
  9. লীগ্যাসী ফুটওয়ার
  10. গ্রামীনফোন লিমিটেড।

দিনশেষে সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেনে বড় পতন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমেছে। এদিন দিনশেষে সেখানে সূচক সামান্য বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৯০১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.৭৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩১১ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩.৫২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০০৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৬৯টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৬টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪২টির দর।

ডিএসইতে এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো –ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, নূরানী ডায়িং, মুন্নু স্টাফলার্স, লীগ্যাসী ফুটওয়ার ও গ্রামীনফোন লিমিটেড।

এদিকে বুধবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৬০৭ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ২১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সেখানে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও বিএসআরএম লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড